মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘরভাড়া ফাঁকি দিতে ভালো বাসভবনটি জরাজীর্ণ দেখানোর অভিযোগ

মণিরামপুর প্রতিনিধি।। | প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৫ ২২:০০

মণিরামপুর প্রতিনিধি।।
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৫ ২২:০০

ছবি- নিউজ প্রতিনিধি।

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.হুমায়ুন রশীদের বিরুদ্ধে সরকারি ৪০ শতাংশ ঘরভাড়া ফাঁকি দিতে ভালো বাসভবনটি জরাজীর্ণ দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় এ বাসভবনটি বসবাসের অনুপযোগী উল্লেখ করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে সেটা জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ন ঘোষনা করে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাঃ হুমায়ুন রশীদ আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই। বর্তমান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ ফাইয়াজ আহমদ ফয়সাল যোগদান করেন চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি। স্বাস্থ্য এবং আবাসিক অফিসারের নামে বরাদ্দ রয়েছে পাশাপাশি পৃথক দুটি বাসভবন। ইতোপূর্বে ২০২০ সালে বাসভবন দুটি মেরামতও করা হয়। বাসভবন দুটি বর্তমান ব্যবহারের উপযোগী থাকলেও অভিযোগ রয়েছে দু’জন অফিসারের মধ্যে কেউ সরকারি বাসভবন ব্যবহার করেন না। সম্প্রতি ওই বাসভবন ২টি জরাজীর্ণ হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হিসেবে প্রত্যয়পত্র চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ ফাইয়াজ আহমদ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে সরেজমিন পরিদর্শন ছাড়াই গত ১ জুন নির্বাহী প্রকৌশলী আবাসিক মেডিকেল অফিসারের বাসভবন জরাজীর্ণ উল্লেখ করে ব্যবহারের অনুপযোগী হিসেবে প্রত্যয়নপত্র দেন। নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, দুটি ভবনের মধ্যে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের ভবনটি মেরামতের প্রয়োজন। কিন্তু শনিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, ভবনদুটির কোন সমস্যা নেই। একেবারেই চকচকে অবস্থায় রয়েছে। এখনই ব্যবহার করা যাবে। এমনটি আবাসিক মেডিকেল অফিসারের ভবনে এখনও এসি রয়েছে। এ দিকে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.হুমায়ুন রশীদ দুই বছরের উচ্চতর প্রশিক্ষনের জন্য ৮ জুলাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন। হুমায়ুন রশীদ জানান, ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বাড়িভাড়া কর্তন ছাড়াই ১৭ মাসের বকেয়া বেতনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
তবে তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ হুমায়ুন রশীদ ভালো বাসভবন জরাজীর্ণ দেখিয়ে বাড়িভাড়ার ৪০ শতাংশ টাকা ফাঁকি দিতে (প্রতিমাসে বাড়িভাড়া ১১ হাজার ২৪০ টাকা কর্তন না করে) বকেয়া ১৭ মাসের সমুদয় বেতন উত্তোলনের জন্য হিসাব রক্ষন অফিসে আবেদন করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ ফাইয়াজ আহমদ ফয়সাল জানান, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে আরএমওর বাসভবনটি জরাজীর্ণ ঘোষনা করায় বাড়িভাড়া কর্তন ছাড়াই বেতনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তবে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার সেলিম রেজা জানান, বাড়িভাড়া কর্তন ছাড়া আরএমওকে বেতন দেওয়া সম্ভব নয়।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: