![ছবিঃ ফাইল ফটো।](https://www.dailyshomosamayik.com/images/inbound2953611244160548550.jpg)
অলিয়ার রহমান,কেশবপুর প্রতিনিধি।।
যশোরের কেশবপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে শামীম আজাদ নামে এক যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী। বুধবার বেলা ১১টা থেকে উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের নারায়নপুর এলাকার শামীম আজাদের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেছেন ওই তরুণী। স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন ওই তরুণী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই তরুণী সেখানেই অবস্থান করছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। শামীম আজাদ সুফলাকাটি ইউনিয়নের নারায়নপুর এলাকার জাকাত আলী মোড়লের ছেলে। মেয়েটি আসার খবরে ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
অনশনকারী ওই তরুণী বলেন, দুই বছর আগে মোবাইলের মাধ্যমে শামীম আজাদের সাথে আমার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে আমার সঙ্গে শামীমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিভিন্ন স্থানে আমাকে ঘুরতে নিয়ে যান শামীম। চলতি বছরের ৬ আগষ্ট বেড়াতে গিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার একটি বাড়িতে ৩ লক্ষ টাকা কাবিনে আমাদের বিয়ে হয়।
তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর শামীম আমার সঙ্গে অসংখ্যবার মেলামেশা করেছেন। ফায়ার সার্ভিসে চাকুরীর কথা বলে বিয়ে গোপন রাখতে বলে। কিন্তু মাঠ শেষ হলেও চাকুরী না হওয়ায় সম্প্রতি শশুরবাড়িতে নিতে বললে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শামীম। তাই স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শামীমের বাড়িতে অনশন করছি কিন্তু তার পরিবার আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। আমার পরিবার আমাকে অন্ত্র একাধিক জায়গায় বিয়ে ঠিক করলেই সে ভেঙ্গে দিয়েছে। বিয়ের বিষয়টি এখন এলাকার অনেকেই জানে। আমার আর কোথাও ফিরে যাওয়ার পথ নেই। শামীম স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ না করলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোনো পথ নেই বলে জানান ওই তরুণী।
তরুনীর দুলাভাই হুমায়ন কবির বলেন, ওরা দুজনে প্রায়ই মেয়েটির খালাবাড়ি যাতায়াত করতো। খালা বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। পরবর্তীতে ছেলে ও মেয়ের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের দিন নারায়নপুর ওয়ার্ডের মেম্বর আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারি, এস এম মহব্বত হোসেন, তৈয়েবসহ স্থানীয় গন্যমান্যব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে বিয়ের স্বাক্ষী ছিলেন। বিয়ের পর শশুর বাড়িতে আনতে অস্বীকৃতি জানানোর কারনে মেয়েটি ছেলের বাড়িতে এসেছে। মেয়েটি আসার পর ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছে।
তবে ছেলের বাবা জাকাত আলী মোড়ল মোবাইলে জানায়, বিয়ে হয়েছিল পরবর্তীতে ওই মেয়েটিকে খোলা তালাক করা হয়েছে।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ছেলেমেয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সমাধান না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#
![](/img/ads2.jpg)
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: