মনিরামপুরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা,চেয়ারম্যান গ্রুপের ২ জন আটক

মণিরামপুর প্রতিদিন।। | প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৪ ১৯:৪১

মণিরামপুর প্রতিদিন।।
প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৪ ১৯:৪১

ফাইল ফটো

মনিরামপুর(যশোর)প্রতিনিধি।। যশোরের মনিরামপুরে আধিপত্য বিস্তরকে কেন্দ্র করে এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রæপের সংঘর্ষে পুলিশের এক এএসআইসহ সাতজন আহত হয়। এ ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করে এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রæপ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। তদন্তের পর পুলিশ উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের ৩৪ জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে একটি মামলা রেকর্ড করেন। ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আদালতে চালান দেওয়া হয়।

জানাযায়, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে গত শনিবার দুপুরে দুস্থ রোগীদের মধ্যে চেক বিতরণের আয়োজন করা হয় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ ঘোষ, থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মেহেদী হাসান। অভিযোগ রয়েছে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই মিলনায়তনের বারান্দায় উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রæপের সমর্থকরা এমপির সমর্থকদের উপর হামলা করে। পরে দুগ্রæপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম বাপ্পী হুসাইন, আবু সালেহ, রিয়াদ হোসেন, পুলিশের (ডিএসবি) এএসআই ফিরোজ হোসেন এবং এমপির ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী অবসরপ্রাপ্ত এসআই শহিদুল ইসলামসহ সাতজন।
অবশ্য সংঘর্ষের ঘটনায় এমপি ইয়াকুব আলী অভিযোগ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুর উষ্কানিতে তার ভাই শ্রমিকলীগ নেতা বাবুল করিম বাবলুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পীতভাবে তার সমর্থিত নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু জানান, মিলনায়তনের বারান্দায় হট্টোগোলের শব্দ পেয়ে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে গিয়ে সকলকে নিবৃত করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে একে অপরকে দোষারোপ করে এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রæপের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়। মনিরামপুর থানার ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রæপের ৩৪ জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়। এমপির ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী অবসরপ্রাপ্ত এসআই শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই রাতেই আটক করা হয় জালঝাড়া গ্রাম থেকে তারেক হোসেন ও বাদল হোসেনকে। বাকীদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: