স্টাফ রিপোটার্স।। যশোরের অভয়নগর উপজেলার মালোশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে রাজি না হওয়ায় কুৎসা রটিয়ে ওই নারীকে
শ্লীলতাহানি'র চেষ্টা, স্বর্নলংকার ছিনিয়ে নেওয়া ও নগত ৫০ হাজার টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের বারান্দী পালবাড়ি এলাকায়। এ ঘটনায় গত ২৫ অক্টোবর দু'জনের নাম উল্লেখ করে অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার মোঃ মুজিবর রহমানের পুত্র মোঃ মুরাদ (৩৫) ও হামেদ আলীর পুত্র মোঃ আক্তার (৪০)
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ওই নারীর স্বামী বিদেশ থাকার সুবাদে অভিযুক্তরা ওই নারীকে
প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ওই নারী তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্তরা তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়। গত ২০ অক্টোবর রাতে বাদী
তার বাড়িতে ছিলেন এসময় সে তার বাড়ির আশপাশে লোকজনের উপস্থিতি টের পাইয়া প্রতিবেশী ভাসুরের ছেলে কে ডাক দেয়।
বাড়ির আশপাশে কাউকে না পেয়ে ভাশুরের ছেলে বাদিকে জানাতে আসলে অভিযুক্তরা বাদিকে জাপটে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং তার গলায় থাকা আট আনা ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। বাদি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্তরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ওই নারী ও ভাসুরের ছেলেকে পাশাপাশি দার করিয়ে ছবি তোলে ও ভয়েজ রেকর্ড করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুরাদ ও আখতারের সাথে কথা বলে জানা যায় ভিন্ন কথা। তারা জানান, প্রতিবেশী প্রতিবেশী ভাসুরের ছেলের সাথে ওই নারীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বিষয়টা জানতে পেরে ২০ অক্টোবর রাত দশটার দিকে ওই নারী ও প্রতিবেশী ভাসুরের ছেলেকে একই ঘরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় পাই। ওই নারী চেইন ছিনতাই, শ্লীলতাহানি'
ও নগত অর্থ দাবির বিষয়ে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা।
এ বিষয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টা তদন্তাধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: