মণিরামপুরে ভেসে গেছে ঘের, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত নদীতে মাছ ধরার হিড়িক

দৈনিক সমসাময়িক ডেস্ক।। | প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:২৮

দৈনিক সমসাময়িক ডেস্ক।।
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:২৮

ছবি- লেবু গাঁতি ব্রিজ

মোঃ শাহ্ জালাল।। যশোরের মণিরামপুর বন্যায় ৪ হাজার ১০৫ টি মাছের ঘের ও ১ হাজার ৯২০টি পুকুর ভেসে গেছে। এছাড়া দুই হাজার ৫৭০ হেক্টর আমন ধান তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে সবজী ক্ষেত সহ অন্যান্য ফসলেরও। এর ফলে মাছ চাষি ও কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। টানা বৃষ্টি ও হরিহর এবং মুক্তেশ্বরী নদের উপচে পড়া পানির কারণে মণিরামপুর কেশবপুর ও অভায়নগর এর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় মাছ চাষিদের প্রায় শত কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। মণিরামপুরের ঘের ব্যবসায়ীরা প্রধান কারণ হিসাবে দায়ী করছে ভবদহ পয়ঃনিষ্কাশন এর অব্যবস্থাপনা।

সরেজমিন বুধবার মণিরামপুর হাজিরহাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় পানিতে প্লাবিত হয়েছে ফসলের ক্ষেত সহ শতশত ঘের ভেড়ি। এলাকার রমেশ দাষের বাড়ির ঘরের ভেতর পানি ঢুকে পড়ায় তারা পাশের একটি উচু ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া বাড়ির উঠানে বন্যার পানিতে জাল ফেলে মাছ ধরছেন পলক নামে এক যুবক। অপরদিকে লেবু গাঁতি কয়েকটি পরিবারের লোকজন সড়কের একটি উচু স্থানে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদিপশু গুলো রাস্তার দুই ধার দিয়ে বেঁধে রেখেছে।

অপরদিকে বন্যার ভেসে যাওয়া ঘেরের মাছ ছড়িয়ে পড়তে প্লাবিত ডোবা নালা খালবিল ও নদীতে ফলে রাতদিন চব্বিশ ঘণ্টা নদীতে মাছ ধরার হিড়িক পড়েছে।

হরিহর ও মুক্তেশ্বরী নদের এলাকা দিয়ে নদ উপচে পানি ঢোকা বন্ধ করতে দিয়ে গ্রামবাসীকে বাঁধ নির্মাণ করতে দেখা যায়। টানা বৃষ্টির পাশাপাশি নদ-নদীর উপচে পড়া পানিতে মণিরামপুর পৌরসভাসহ উপজেলা ১৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। লেবু গাঁতি গ্রামের সমীর, কিশোর, দেবাশীষ, বিদ্যুৎ বলেন আমাদের মাছের ঘের ভেসে গিয়ে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ সাইদুর রহমান রেজা বলেন, বন্যার পানিতে মণিরামপুরের প্রায় ৪ হাজার ১০৫ টি মাছের ঘের ও ১ হাজার ৯২০টি পুকুর ভেসে গেছে। এতে মাছ চাষিদের প্রায় তিন হাজার ১৮ মেট্রিকটন মাছ ভেসে প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: