পাইকগাছা- কয়রার লক্ষ মানুষকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে মিনাজ নদী দ্রুত খনন সময়ের দাবী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০২২ ০২:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০২২ ০২:৩৬

ছবি সমসাময়িক
মো: মানছুর রহমান (জাহিদ)।। পাইকগাছা উপজেলার খড়িয়া মিনাজ বাজার সংলগ্ন গেটটি লস্কর ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডের ২০টি গ্রামের পানি, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউনিয়ন চাঁদখালী ইউনিয়নের ৩২টি গ্রামের পানি, গড়ইখালী ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের পানি ও কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশের পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম । কিন্তু এ গেটটির সম্মূখের ক্যানেলটি সরু হওয়ায় এবং খড়িয়া মিনাজ চক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে মিনাজ নদীতে প্রায় দেড়-দুইশো বিঘা জমি ভরাট হয়ে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে । প্রতিবন্ধতা দূরীকরণের লক্ষে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইতিপূর্বে লস্কর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব কে এম আরিফুজ্জামান (তুহিন) এমপি মহোদয়, উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় সচিব, ডিসি মহোদয় ও ইউএনও মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করেছেন কিন্তু কোন কার্যকর ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। এছাড়া ১৫ কিঃমিঃ দৈর্ঘের এ নদীতে ২.৫২ একর জমি ইজারা দেওয়া হয়। ফলে জলমহাল ইজারাদার কর্তৃক নেটপাটা দেওয়ার কারনে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় জনজীবন মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । বর্ষার মৌসুমে অতি বৃষ্টির কারণে এলাকার পানি ঠিক মতো অপসারিত না হওয়ায় এলাকার ভুক্তভোগী জনগন এ দুরাবস্থার কথা জানিয়েছেন বাস্তবতার নিরিখে দেখা গেছে টানা ৩ দিন বৃষ্টি হলে ১৫ দিন লাগে মিনাজ নদীর পানি সরতে। বর্ষার মৌসুমে গজালিয়া থেকে চাঁদখালী অভিমুখে পিচের রাস্তার উপর পানি উঠে যায় মিনাজ নদীর পানি সরবরাহে ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী উক্ত ভরাট অংশ দ্রুত খননের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন না করা গেলে বর্ষার মৌসুমে এ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে । বিগত বছরগুলোতে উক্ত ভরাটি অংশের কারনে বন্যার পানি ঠিকমত সরবরাহ না হওয়ায় এলাকার ধান চাষী ও মাছ চাষীরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন এলাকার প্রচুর কাঁচা বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । নদীর পাশের রাস্তা সংস্কার করা হলেও বন্যার পানিতে বারবার ভেঙে যাচ্ছে । সময় মতো বন্যার পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এ অঞ্চলের স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত অবকাঠামোর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে । নদীর মুখের দিকের একটি বিশাল অংশ ভরাট হয়ে পানি সরবরাহে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে । অন্যদিকে বাইনতলা গেটটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় সমস্ত পানির চাপ এখন মিনাজ গেটের উপর । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত "গ্রাম হবে শহর" বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্প গুলো টেকসই করার জন্য মিনাজ নদী সহ সকল পানি সরবরাহের ক্যানেল গুলো অবমুক্ত করা এবং টেকসই ভেড়ি বাঁধ তৈরী করা প্রয়োজন। তাই মিনাজ নদীর চর ভরাটি অংশ খনন করা এখন সময়ের দাবী । লস্কর, গড়ুইখালী, চাঁদখালী ,ও কয়রার আমাদী ইউনিয়ানের পানি সরবরাহের ক্যানেল গুলো খনন করা না হলে এ অঞ্চলে ব্যাপক ভাবে ধান চাষ করা আদৌ সম্ভব নয়। ফলে একটি মহল চাষীদের লোনা পানির মাছ চাষে আগ্রহী করে তুলছে । বিষয়টি বিবেচনা করে মিনাজ নদীর চর ভরাটি খননের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান (তুহিন) ।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: