প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে র‌্যালি ও সমাবেশ করলো সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০২২ ০১:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০২২ ০১:৪১

ছবি সমসাময়িক
রাশেদ রেজা, মাগুরা প্রতিনিধি।। মাগুরা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। গতকাল ২৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সংগঠনের জেলা শাখার আহ্বায়ক কেয়া বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও জেলা কমিটির সদস্য ঐশী বিশ্বাসের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ মাগুরা জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রকৌশলী শম্পা বসু ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মাগুরা শহর শাখার সাবেক আহ্বায়ক মো: সোহেল মুন্সী। উক্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, সবকিছু খোলা রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত অবিবেচনাপ্রসূত ও অযৌক্তিক এবং শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসনের নামান্তর। দেশের সবকিছু চলছে আগের মতই, এমনকি বাণিজ্য মেলাও বন্ধ নেই। উপরন্তু বাণিজ্য মেলায় যাতে মানুষ যাতায়ত করতে পারে তার জন্য বিশেষ বাস সার্ভিসও রাখা হয়েছে। তবে সরকারের কাছে করোনা মোকাবেলার একমাত্র সমাধান হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া। গত ২০১৯ সাল থেকে করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে ছিল। এতেই শিক্ষা ব্যবস্থার এক অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে, এখন সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার বদলে সরকার আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা এক গভীর সঙ্কটের মুখে পতিত হবে। অনলাইন শিক্ষার কথা বলা হচ্ছে কিন্তু দেশের প্রায় ৯৪ ভাগ গ্রামীণ শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষার আওতার বাইরে ছিল বলে পত্রিকায় এসেছে। তাই কোন রকম গবেষণা বা পর্যালোচনা ছাড়া এভাবে আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা সমগ্র শিক্ষার্থী সমাজকে চরম সংকটের মুখোমুখি করলো। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রীসহ বিভিন্ন বর্ষের চলমান পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়েছে। অনেক বিভাগের আর মাত্র একটা/দুইটা পরীক্ষা হওয়া বাকি ছিল। অথচ কোন অজানা কারণে তাদের শিক্ষাজীবন আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে গেল। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানান এবং অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণের দাবি তোলা হয় সমাবেশ থেকে। উল্যেখ্য, করোনা পরিস্থিতি ছাড়াও মাগুরা জেলায় শিক্ষার মানের বেহাল দশা দৃশ্যমান, প্রতি বছরই যশোর বোর্ডের মধ্যে সর্বনিম্ন পাশের হার জেলাটিতে এই জেলায় কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার মানও ভালো না।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: