
বিশেষ প্রতিনিধি।। নওয়াপাড়ার স্বনামধন্য ব্যবসায়ী শাহানেওয়াজ কবির টিপুর চুরি যাওয়া চেকে স্বাক্ষর জালিয়াতি করার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী টিপু বাদি হয়ে অভয়নগর উপজেলার সিরাজকাটি এলাকার এস এম আরাফাতুর রহমান ও গোয়াখোলা কলেজ রোড এলাকার আবুল কাশেম মোগলের পুত্র মাহামুদুল হাসান মোগল লিপুকে আসামি করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোতয়ালী আমলী আদালত যশোরে লিখিত অভিযোগ করলে বিচারক রহমত আলী অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা হিসাবে গ্রহন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দেন।পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ব্যবসায়ী টিপু ফৌজদারি কার্ষবিধির ৯৮ ধারায় চেক উদ্ধারের দাবি জানিয়ে বিজ্ঞ অতিঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত যশোরে আবেদন জানালে বিচারক ইউরুপা সুলতানা অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে চেকটি উদ্ধারের নির্দেশ দেন।
মামলার বর্ননায় জানা যায়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারী সকাল দশটায় ব্যবসায়ী টিপু ব্যাংকিং কাজে নওয়াপাড়া হইতে প্রাইভেটকার যোগে যশোর রওয়ানা হয়। এসময় ২ নং অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মোগল লিপু জানান, সে ও তার শ্যালক যশোর যাইবে। পূর্বপরিচিতি থাকায় বাদি আসামিদের নিজ গাড়িতে লইয়া রওনা হয়। বাদী যশোর যাওয়ার সময় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পি এল সি ব্যাংক এশিয়া ও যমুনা ব্যাংকের চেক বই ব্যাগে নিয়ে নেয়।সারে এগারোটায় বাদী রাজারহাট বাজারে পৌছালে পায়ের কাছে চেক বইয়ের ব্যাগ
রাখিয়া গাড়ী চালাইতে অসুবিধা হইলে ব্যাগটি গাড়ির সামনে রাখিয়া দেয়। বেলা বারটার দিকে কোতয়ালী থানাধীন রাজারহাটে পৌঁছালে পিপাসা লাগায় গাড়ি থামাইয়া পানি ক্রয় করিয়া পান করে আবার গাড়িতে আসে বাদী। পরে বাদি যশোরে পৌছাইয়া ব্যাংকিং কাজ করার সময় দেখতে পান যে, ব্যাগের সাজাইয়া রাখা চেক বই তিনটি উল্টা-পাল্টা। এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি বাদীর হিসাব নাম্বার ২০৫০১৩৫০১০০২৯৮৩১৮ এর চেক বইয়ের অসাক্ষরিত একটি পাতা নাই।দু'দিন পর বাদি ২৬ ফেব্রুয়ারি
চেক চুরির ঘটনায় কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে যাহার জিডি নং ২০০৫। পরে আসামিরা ইচ্ছামত টাকার অংক বসিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে চেকটি ডিজওনার করে বাদিকে আইনি নোটিশ করলে বাদি তার জবাব দেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: