
বিশেষ প্রতিনিধি।।
যশোরের অভয়নগরে মাদক ব্যবসা না করার অঙ্গীকার করে মুচলেকা দিয়েও অধিকাংশ মাদক ব্যবসায়ীরা ভিন্ন কৌশলে মোবাইল ফোন ও উঠতি বয়সী কিশোর ও সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসায়ী কর্মকাণ্ড। ২০১৭ সালের ২৪ মে যশোর জেলা পুলিশ জেলার শীর্ষ ১৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার ঘোষণা করেন। ১৪ জনের তালিকায় অভয়নগরের উপজেলার বুইকরা গ্রামের হিরু মোল্লার স্ত্রী লিপি বেগন(৪৫), ড্রাইভার পাড়া এলাকার মৃত নুর ইসলামের পুত্র শহিদুল(৩২) ও গুয়াখোলা এলাকার গনি মিয়ার পুত্র কামরুল(৩৫) এই ৩ জনের নাম প্রকাশ পায়। তবে সেসময় গাঁ-ঢাকা দেয় মাদক ব্যবসায়ীরা। নিজেদের আঁড়াল করে সিন্ডিকেট তৈরি করে তাদের ব্যবসায় উঠতি বয়সী কিশোর, সুন্দরী নারী ও নতুন মুখ ব্যবহার করে আঁড়াল থেকে নাড়তে থাকে তাদের কলকাঠি। ১৮ জুন প্রতিপক্ষের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন মাদক তালিকায় থাকা শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল। বাকি দু'শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীসহ মাদক ব্যবসা ছেড়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ চেয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মুচলেকা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন বেশকিছু মাদক ব্যবসায়ী। শহিদুলের মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা নিজেরাই যে যার মত নিজেদের ব্যবসা আলাদা করে ড্রাইভার পাড়াকে মাদকের শহরে পরিণত করে। ফলে ঘরে ঘরে আত্মপ্রকাশ পায় মাদক ব্যবসায়ী। প্রশাসনের বিভিন্ন বাহিনী মাদক বিরোধী অভিয়ান চালালেও ড্রাইভার পাড়ার মাদক নির্মূল করতে ব্যর্থ হয়। চলতি বছরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সুযোগ দেওয়া হলে ২ সেপ্টেম্ব ৪.৫.ও ৬ নং ওয়ার্ড বিট পুলিশিং -২ কার্যালয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শামিম, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতে বিট পুলিশিং-২ এর দায়িত্বে থাকা এস আই শাহ আলমের সার্বিক প্রচেষ্টায় ড্রাইভার পাড়ার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মৃত নুর ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ(২৫), ওহিদুল (৩৪), মহাসিন মোল্লার পুত্র সাজু (২৮), মাসুদের স্ত্রী রেকসোনা বেগম(৩৫), মাছ বাজার এলাকার খালেকের পুত্র শান্টু(৩৫), খোকনের পুত্র মাছুম(৩৩), মাদক ব্যবসা ছাড়ার অঙ্গিকারে মুচলেকা দেন। তবে উপরোক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা মুচলেকা দিলেও থেমে নেই ওই এলাকার মাদক ব্যবসা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এলাকার মাদক নিয়ে লেখালেখীর পাশাপাশি প্রশাসনকে বিষয়টা অবহিত করলেও প্রশাসনের কোন প্রতিক্রিয়া নেই বলে অভিযোগ অনেকের। স্থানীয় আহাদ মোল্লা ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জন বলেন,মুচলেকা দেওয়ার পরও এরা মাদক ব্যবসা ছাড়েনি বরং এদের মধ্যে পুলিশের যে ভয়টা কাজ করত বর্তমানে সেটাও নেই। এ বিষয়ে ৪,৫ ও ৬ নং বিট পুলিশের দায়িত্বে থাকা অভয়নগর থানার এস আই শাহ আলম বলেন, মাদক নির্মূলে অভয়নগর থানা পুলিশ সর্বদা কাজ করে চলেছে। মাদক ব্যবসা না করার অঙ্গীকার করে মুচলেকা দিয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: