
জীবনের প্রথম স্বপ্নিল চিঠি আজও অক্ষয় হৃদয়ে,
ত্রিশ বছর বুকপকেটে অপেক্ষায়-তবু যায় নি ক্ষয়ে।
যে দেবীকে দেবো বলে হৃদয়ের বাণী লেখা,
এ জীবনে তার সাথে হবে না আর দেখা।
এক সাথে এক স্কুলে লেখা পড়া এক সাথে চলা-
তবু হৃদয়ের কথাটি কখনও হয় নি তারে বলা।
বোবা কান্না না বলা কথামালা মরে বুকের মাঝে,
আজও তার ছন্দ তোলা নূপুর ধ্বনি কানে আমার বাঁজে।
মনের গভীরে অহর্নিশ লুকিয়ে নরক জ্বালা-
দু’জনে কুড়িয়ে বকুল একসাথে গেঁথেছি মালা।
স্বপ্নিলমালা হাত বাড়িয়ে পরাতে পারে নি কেউ কারো গলে,
শৈশবের বর বউ খেলার স্মৃতিতে আজও ভাসি চোখের জলে।
সে আমার আমি তার-স্বর্গের বন্ধনে এই তো ছিলাম ঢের,
বিধির লেখায়-চোখের জলে হারিয়ে যাবো ভাবি নি কভু টের।
ত্রিশ বছর আগে ধূসর কফিনে যে প্রেমের হয়েছে সমাধি,
তাকে নিয়ে স্বপ্ন’রা আজও প্রেমের তাজমহল গড়ে নিরবধি।
চিঠির ভাঁজে শৈশবের বর বউ খেলার ফুলের মালা-
কালগর্ভের অবর বেলায় অহর্নিশ দেয় নরক জ্বালা।
নীলখামের মলিন চিঠি নিরালায় পড়ে আজও আমি কাঁদি ,
অবুঝ হৃদয়ে প্রেয়সীর পথ চেয়ে অভিসারে আজও ঘর বাঁধি।
---(কাব্য: স্মৃতির বালুচর)

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: