
নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ উৎযাপনে মুক্তির মিছিল সমাগত, মিছিলের স্লোগানে মিলিয়েছে হাজার জনতা দ্বিধাহীন কণ্ঠ অভাব নেই কোন, যা কিছু লাগে সংসার, ধর্ম, স্ত্রী, সন্তান অথবা ক্ষমতার দ্বন্দ্ব-- নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ উৎযাপনে যুবক নিস্তব্ধ, কি হারিয়েছে তার? চিন্তা মগ্ন মুখে চেয়ে আছে বিশ্বনাথ পানে, জরাজীর্ণ দেহে বুতাম আটকানো! এই সেদিন হাসি মুখে বলে গেল তরুণ তাজা দুটি প্রাণ--সাতপাকে বাঁধা, শাঁখা-সিঁদুরে আঁকা, সাতনা তলায় দেখা, বেশি দিন হল না, তারাও করছে সন্ধান, শতবর্ষ উৎযাপনে আতিপাতি করে খুঁজে বেড়ানো জনতার দল, কিছুটা আক্রমণাত্মক, ভ্যাপসা গরমে জলধির পিপাসা বুকে, তৃষ্ণা মেটাতে ব্যস্ত স্নানে স্নানে; অদ্ভুত স্নান--অসামাজিক স্নান, তবুও পিপাসা মেটে না, সময়ের ব্যবধানে মৃত সকল সম্পর্ক তার, এমন কি গ্রহণ করেছে যার দ্বার খুঁজে পায় না, নব বধূ কিংবা মাঝ বয়সী বউ কি অপরাধ তার, কেন ঘর মুখো ভাতার সামিল হয়েছে সাথে বিবাগী জনতার কি সংকট, কোথায় সংকট, শরীরী আত্মার রূপান্তর চোখে দেখে না, না পুরুষ, না নারী কিংবা বেশ্যার তবুও অসামাজিক স্নান, অমানুষিক স্নান হাসির কথা তুলে, নয়ত নিয়তির কথা অতঃপর নিঃসঙ্গতার আঁধারে ডুব দিয়ে মিশে যায় মিশিলে, উৎযাপনে ব্যস্ত নিঃসঙ্গতা নিংড়ে নেয়, চেতনা, সময় ও স্বাধীনতা কিছুই অবশিষ্ট নেই মনে করে বিবাগী জনতার দল, ঝর্ণার জলে সঁপে দেয় দেহ, হয়ত কিছুটা মন, কিংবা আত্মা মুহূর্তের তরে, থেমে যাওয়া কান্না নয়ত অনন্ত বিলাপ সম্পর্কের বাইরে সম্পর্ক খোঁজে-- হাসির সাথে, নিয়তির সাথে কিংবা আত্মোদোষে! উৎযাপনে হাজির হয়েছে, মোমবাতি দুটো গোলাপের কলি কিছু খাবার তার চেয়ে আকর্ষণীয় এক নারী তার হৃদয়ের বুতাম খুলে গল্পের পসরায় নিয়ে গেছে জনতাদের অতীতের কোলে ঘুম ঘুমাবার হঠাৎ জেগে, বিলাপ করে, ভুল হয়েছে ঘুমিয়ে ভিজে গেছে অন্তর নারীর ক্রন্দনে--যে নারীর পরিচয় নেই, বৈধতা নেই, নেই সামাজিকতা তার সাথে কাটে আমার আজন্ম নৈঃশব্দতা।
লেখক, ইউএনও শাহিন সপ্তম এর পুরো নাম মোঃ আক্তার হোসেন শাহিন। তিনি যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান। বর্তমান নরসিংদীর জেলার বেলাবো উপজেলায় ইউএনও হিসাবে কর্মরত আছেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: