কবি অলিয়ার রহমান এর রম্য কবিতা "অদ্ভুত মশার ভয়"

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২১ ০৩:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২১ ০৩:১১

ছবি সমসাময়িক
 

অদ্ভুত মশার ভয় অলিয়ার রহমান

মতিন মিয়া করলো বিয়ে আষাঢ় মাসে, শ্বশুর বাড়ীর পাশে তখন মেলা বসে। বউ বললো- চলো, আমি মেলায় যাবো, দু'দিন আমি তোমার সাথে সেথায় রবো। মতিন বলে- এবার হবে মরণ দশা! বর্ষাকালে গেরাম দেশে ভীষন মশা। তুমি গেলে যেতে পারো-আমায় ছাড়ো মশার ভয়ে এমনি থাকি জড়সড়।

তোমায় ছেড়ে একলা যাবো, পাগল হলে? মশার ভয়ে অধীর হলে জীবন চলে? আমি আছি - তবু কেন ভাবছো তুমি? একটা মশা কামড়াবেনা - বলছি আমি। ঘরের কোণে মশার কয়েল জ্বেলে দেবো যাবার সময় মশারীটাও সঙ্গে নেবো। একলা গেলে লোকে আমায় মন্দ কবে, তুমি ছাড়া সফর কি আর মধুর হবে?

অবশেষে মতিন গেল বউয়ের সাথে, মশার ভয়ে শরীর কাঁপে কল্পনাতে। সন্ধ্যা হতেই মতিন গেল জালের ঘরে বউটা তাহার মায়ের সাথে গল্প করে। হেন কালে উড়ে এলো জোনাক পোকা মতিন ভাবে - মশা তারে দিচ্ছে ধোঁকা। মশার ভয়ে এমনি মাথা এলোমেলো, তার উপরে এরা আবার জ্বালছে আলো।

হঠাৎ মতিন চেঁচিয়ে বলে- বাঁচাও মোরে, বাড়ীর মানুষ জামাই পানে ছুটলো জোরে। শ্বশুর বলে - কি হয়েছে, জামাই বাবা? মতিন বলে- মরণ আমায় দিচ্ছে থাবা! ভয়ের চোটে ধড়ফড়িয়ে কাঁপছে পিলে, মশা আমায় খুঁজছে বাবা মশাল জ্বেলে! ওই যে দেখুন জালের কোণে জ্বলছে আলো মশারা সব কেমন করে লাইট পেলো?

আলো দেখে খুঁজে পেলাম -অনেক ভেবে, কাছে পেলে ওরা আমার জীবন নেবে!! এই মশারা ভীষণ ক্ষ্যাপা, লাইট জ্বালে! কতো কি আর দেখতে হবে-কলি কালে!




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: