মোঃ শাহ্ জালাল।।
মনিরামপুরের গর্ব "কবি সনৎ কুমার কুন্ডুর" সম্প্রতি প্রকাশিত হলো যশোর যাত্রী প্রকাশনী থেকে "শূন্য পাত্রে ছিন্ন জীবন" নামক কাব্যগ্রন্থ। মনিরামপুরের এই কবির জন্ম ১৯৫১ সালের ১১ই আগস্ট ঐতিহ্যবাহী যশোর জেলার মনিরামপুর পৌরসভাধীন মনিরামপুর গ্রামে।
মনি'র আবাসস্থল বলেই ছোটবেলা থেকেই বাবা মা ''মনি" নামেই ডাকতেন। কিন্তু তার রাগী স্বভাবের কারণে এই চূড়ান্ত নাম বেছে নেন সনৎ কুমার (ব্রহ্মার পুত্র)। সেখান থেকেই স্কুল-কলেজ, লেখক, ডাক্তার সবখানেই সনৎ কুমার কুন্ডু নামেই পরিচিতি লাভ করেন তিনি।
পিতা স্বর্গীয় অনিল কৃষ্ণ কুন্ডু, মাতা স্বর্গীয় অনুপমা কুন্ডু। সাত ভাই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। মূলত আশির দশকের কবি তিনি। বিভিন্ন জটিলতার কারণে লেখালেখির কাজ ব্যাহত হলেও থেমে যায়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের নৈহাটিতে ৮ মাস অবস্থান করার পর দীর্ঘ ৯ মাস পর দেশে ফিরে এসে দেখেন এক হ-য-ব-র-ল অবস্থা। তিনি দীর্ঘদিন যশোর বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের নির্বাহী সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও দক্ষিণ বাংলার লেখক সমিতির সদস্য তিনি। ভারতীয় মাসিক পত্রিকা ''অভিনব অগ্রণী''তে প্রকাশিত হয় তার কবিতা। তাছাড়াও এই পর্যন্ত প্রকাশিত ১৮টি ছোট গল্প, অপ্রকাশিত ৪টি, ২টি উপন্যাস নিশাচর ও প্রহসন প্রকাশের অপেক্ষায়, ১২৫০ টির বেশি কবিতার মধ্যে ৩০০ টির অধিক কবিতা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
বাউল, লোকগীতি, ধর্মীয়, আধুনিকসহ বিভিন্ন গানের সংখ্যা ১৩০০ টির বেশি। ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ বেতারের গীতিকার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। এ সময় ৩৩ টি বাউল গান প্রচারিত হয়। তারপর ২০০৯ সালে অপদেবতার কৌপিন নামে বাউল গীতি কাব্যের সংকলন প্রকাশিত হয়। তাতে ১০টি গান স্থান পায়। এছাড়াও চিত্রকর হিসাবে মনিরামপুর স্থানীয় মহলে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি।কর্মজীবনের মাঝামাঝি সময়ে ডি এইচ এম এস ডিগ্রি লাভ করেন। ৪ পুরুষের হোমিও ডাক্তারি পেশা টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি লেখালেখিটাও চালিয়ে যাচ্ছেন। যশোরের মনিরামপুরের এই কবির তিন কন্যা সন্তান ও স্ত্রী জ্যোৎস্না রানী কুন্ডুর অনেক অবদান তার কবিতা, গল্প, সাহিত্য ও লেখালেখির পেছনে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: