মণিরামপুর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে সাংবাদিক পুত্রের চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:৩৫

ছবি সমসাময়িক
মোঃ শাহ্ জালাল।। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামের পাঁচ বছরের এক শিশু ফয়সাল বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ৭ই ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার টিকে গোসল করে এসে শিশু ফয়সাল বাড়ির ছাদে রোদে যায়। এসময় ফয়সাল তার বড় বোন ফাহমিদার (৭বছর) সাথে খেলা করতে গিয়ে সাদ থেকে পড়ে আহত হয়। কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসে ফয়সালের বাবা সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন এবং দ্রুত তার চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এসময় হাসপাতালে জরুরী বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সোহান। কর্তব্যরত চিকিৎসক পেশেন্টকে ঠিকভাবে চিকিৎসা না দিয়ে বরং বাচ্চার কান্নাকাটির শব্দে উত্তেজিত হয়ে বকাবকি শুরু করেন এবং বাইরে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পেশেন্ট ফয়সাল এর বাবা সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন আমি আমার ছেলেকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনলে মেডিকেল অফিসার সোহান আমার বাচ্চার কান্নাকাটি শব্দে বিরক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। এবং কোন চিকিৎসা না দিয়ে অন্য রোগীদের নিয়ে ব্যস্ততা দেখায়। তখন আমি বাকবিতন্ড শুরু করলে দ্রুত লাম সাম একটি চিকিৎসাপত্র দিয়ে বিদায় করেন। বিষয় টি নিয়ে মুঠোফোন কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বিশ্বাস এর সাথে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন বিষয়টি আমাকে পেশেন্ট পক্ষ থেকে কেউ বলেননি। তবে আমি কোন এক মাধ্যমে শুনেছি এবং সাথে সাথে কর্তব্যরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সোহান কে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছি। তখন তিনি আমাকে বলেন ঐ সময় হাসপাতালে জরুরী বিভাগে মারামারির রুগীসহ আরও ৪ জন রুগি থাকায় আমি খুবই ব্যস্ত ছিলাম। এবং পেশেন্ট ফয়সাল ব্যাথায় খুবই কান্নাকাটি করছিল বিধায় দ্রুত ব্যাথা কমানোর জন্য পেশেন্ট এর অভিভাবকে ভলটালিন সাপোজিটরি দিতে বলি । কিন্তু তারা পেশেন্টকে সাপোজিটরি দিতে না পারায় আমি দ্রুত চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র দিয়ে অন্য পেসেন্ট নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বিশ্বাস আরও বলেন ডাক্তারের ধর্মই রুগীকে সেবা করা। আমি ও আমার হাসপাতাল সবসময় রুগীর সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চাই আপনারা সহযোগিতা করবেন। হয়তো বিষয় টি নিয়ে ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে তবে পেশেন্টের অভিভাবক আমার সাথে কথা বললে আমি বিষয়টি পরিস্কার হতে পারতাম। ফলে ভুলবোঝাবুঝির সুন্দর একটা সমাধান আসতো।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: