ঐতিহ্যবাহী মাসনা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)॥ | প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৩ ০৫:২৬

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)॥
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৩ ০৫:২৬

ফাইল ফটো।

যশোরের মনিরামপুরে ঐতিহ্যবাহী মাসনা মাদ্রাসার মুহতামিম বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মুফতি ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করায় এলাকাবাসী ফুসে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে এলাকার মাহসিন মোড়ল নামে এক ভূমি দস্যু মাদ্রাসার জমি অবৈধভাবে দখল করতে ব্যর্থ হওয়ায় মুহতামিম ইয়াহিয়াসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার মাসনা গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে হাজী ইকবাল হোসেন(যশোরের ইকবাল ফেব্রিক্সের মালিক) বাহাদুর মৌজার নিজস্ব জমির মধ্যে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল মাসনা মাদ্রাসার জামে মসজিদের নামে ৪৬.২১ শতক দানপত্রের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি করে দেন। ইতিমধ্যে দানপত্রের ওই জমি মসিজদের নামে নামপত্তনও হয়েছে। ফলে ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দাতা ইকবাল হোসেন ও তার ভাই মহাসিন মোড়লের বড় ছেলে বিজিবি সদস্য হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে ওই জমি মসজিদের অনুকূলে বুঝে দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে ইকবাল হোসেনের সহোদর ভাই মহসিন হোসেন ওই জমির মালিকানা দাবি করে মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ইয়াহিয়াসহ এলাকার বেশ কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তির নামে আদালতে অন্তত: ৬ টি মামলা দায়ের করে হয়রানি করে চলেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়।
জমিদাতা ইকবাল হোসেন জানান, ক্রয়কৃত ও পৈত্রিক সূত্রে পেয়ে তিনি ৪৬.২১ শতক জমি মসজিদের নামে দানপত্র করে দেওয়া হয়েছে। অথচ তার ভাই মহসিন মোড়ল সম্পূর্ন অবৈধভাবে ওই জমির মালিকানা দাবি করছেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ, ইউপি সদস্য শিমুল গাজীসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, মহসিন এলাকায় মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। এরপরও বিষয়টি মীমাংসার জন্য মহসিনের কাছে তারা একাধিকবার গিয়েছেন। কিন্তু কোন কথায় কর্ণপাত করেননি মহসিন।
তাদের ধারনা জমিদাতা ইকবাল হোসেনের কোন পুত্র সন্তান না থাকায় ওই জমি ভোগ করার আশায় মহসিন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে হয়রানি করছে।
তবে মহসিনের দাবি তিনি কোন মিথ্যা মামলা করেননি।
মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ইয়াহিয়া জানান, তিনি এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মহসিনের কাছে একাধিবার লোক পাঠিয়েছেন বিষয়টি মীমাংশার জন্য। কিন্তু মহসিন তাতে সাড়া দেননি। মুহতামিম জানান, আদালতের রায়ে যদি ওই জমি মহসিন পেয়ে যান, তাহলে জমি তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: