
হাইকোর্ট'র রায়কে উপেক্ষা করে খুলনা- যশোর মহাসড়কে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার সামনে দিয়ে অবাধে চলছে মটর চালিত ভ্যান, ইজি বাইক, মাহিন্দ্র, নসিমন, করিমন সহ কৃষি কাজে ব্যবহারিত ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি মাটির টলির মতো বিপদ জনক যানবাহন। এ সমস্ত যানবাহন চলাচলের ফলে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। যানবাহনগুলো নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা না থাকা-সহ অনভিজ্ঞ চালকরা এসব দূর্ঘটনা প্রধান কারণ। যে কারণে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সারাদেশে ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার বন্ধ একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত এসব যানবাহন আমদানি ও কেনা-বেচার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ট্রাই-সাইকেল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল উদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আহসান সামাদ-সহ আটজন আপিল বিভাগে পৃথক তিনটি আবেদন করলে গত বছরের ৪ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আগের আদেশ সংশোধন করে মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত থ্রি–হুইলার ইজিবাইক চলাচল থেকে বিরত রাখতে আদেশ দিলেও খুলনা -যশোর মহাসড়কে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না থ্রি-হুইলার সহ অবৈধ যান। মহাসড়কে এ সকল যানবাহন চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞার থাকলেও এ রুটে প্রতিনিয়ত দেদারসে যাত্রী ও মালামাল বহন করছে এ সকল যান ।
নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে প্রতিদিন হাজারও থ্রী হুইলার নিষিদ্ধ মাটির টলি মহাসড়কে অবাধে চলছে। অভিযোগ আছে, হাইওয়ে থানার কিছু অসৎ কর্মকর্তা এসব যানবাহন চালকদের কাছ থেকে যথাক্রমে ৫০০ - ৭০০-১২০০ টাকা মাসোহারা আদায় করে বিশেষ স্টিকারের মাধ্যমে বৈধতা দিচ্ছে এসকল অবৈধ যানবাহন। এ সকল যানবাহন মহাসড়কে চলাচলা একদিকে বাড়ছে ঝুঁকি অন্যদিকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে এদের রয়েছে স্টান্ট এসকল স্টান্টের কারনে সৃষ্টি হয় যানজট, শুরু হয় জনদুর্ভোগ।
এ বিষয়ে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিদ্দিকুর রহমানকে অবহিত করলে সে মাসোহারার বিষয়ে মিথ্যা বলে অবৈধ যান চলাচলের বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে বললেও দায়সারা কর্তব্য পালন ছাড়া এ যাবত কোন কঠোর পদক্ষেপ নেননি। যেকারণে প্রশাসনের ভূমিকা আজ প্রশ্নবিদ্ধ।
এ বিষয়ে স্থায়ীয় কয়েকজনে সচেতন নাগরিকের সাথে কথা বললে তারা সরিষার ভেতরকার ভূতকে দায়ী করেন। তারা বলেন, মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজট মুক্ত রাখতে হলে এসকল অবৈধ যান চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: