
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গাইবান্ধায় বিকেল থেকে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি।গাইবান্ধার সর্বৎ বৃষ্টিসহ ঝড়ো বাতাসের কারনে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে আছে বিকাল থেকে। ঝড়ো বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সকল শ্রেণির-পেশার মানুষ। গাইবান্ধা শহরসহ সকল জায়গায় বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারাছন্ন শহরে পরিণত হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর বেলা থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়েছে সন্ধ্যার পর থেকে প্রচন্ড বাতাস শুরু হয়েছে। তবে আজ সকাল থেকে কোথাও সূর্য্য আলো দেখা যায়নি।
প্রাকৃতিক এই দূর্যোগের প্রভাবে যারা দিনমজুর জীবিকার তাগিদে বের হয়েছেন তারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ না থাকায় শহরসহ সকল জায়গায় জনশূন্য পরিণত হয়েছে। দুপুরে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে কিছু মানুষ ছাতা মাথায় নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করতে দেখা গেছে। রিকশা-ভ্যান বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে চালকরা বৃষ্টি ও বাতাসের মধ্যে সন্ধ্যায় রোজগারের উদ্দেশ্য ছুটাছুটি করতে দেখা গেলেও রাত ৮টার পর আর দেখা যায় নি।
গাইবান্ধার বিভিন্ন খাবারের হোটেল গুলোতে আজ লোক না থাকায় খাবার নস্ট হয়ে যায় এবং হোটেল মালিকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। শহরস্থ গোধূলির মালিক মোঃ রব্বানী বলেন, আজ হিন্দু ধর্মের কালি পূজা অর্থাৎ দীপাবলি হওয়ায় আমাদের আয়োজন একটু বেশি ছিল কিন্তু বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়ার কারনে লোক না আসায় অনেক খাবার নস্ট হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবেই এমনটা হয়েছে বলে তার মনে হয়।
গাইবান্ধা টহল পুলিশের সদস্য বলেন, কাল রাতে গণমাধ্যমের খবরে দেখেছি বাংলাদেশের উপকলীয় অঞ্চলগুলোতে না কি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানবো।আজ সন্ধ্যা থেকে শহরে বিদ্যুৎ না থাকায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে অন্ধকারাছন্ন শহরে যেন কোন অপরাধমূলক ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমাদের টহল পুলিশ সজাগ ও হিন্দু ধর্মের কালীপূজার জন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছি।
অভিজিৎ কুমার দাস
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
মোবাঃ-০১৭১৪৬৬৭৬৬৮.
কার্ড নং-

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: