ইসির পদত্যাগের দাবিতে জ্বলছে গাইবান্ধা-৫ আসন

অভিজিৎ কুমার দাস, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।। | প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৫৯

অভিজিৎ কুমার দাস, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।।
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৫৯

ছবি- দৈনিক সমসাময়িক নিউজ।।

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট স্থগিত করে দেওয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও টায়ারে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে আওয়ামী লীগ ও ফুলছড়ির সাধারণ জনতা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ ঘটিকায় দিকে গাইবান্ধা-ফুলছড়ি সড়কের ফুলছড়ি উপজেলা চত্বরের সামনে থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে ফুলছড়ি উপজেলা গেট সংলগ্ন সড়কে আঘা-ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয় জনগনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়েও বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। এতে সড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন এর জ্যামে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম সেলিম পারভেজের সভাপতিত্বে কর্মসূতিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটাররা অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন সব যাচাই বাছাই না করে কেন ভোট বন্ধ করে দিয়েছে তা আসলে রহস্যজনক। দ্রুত নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ভোটের ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান তারা।
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম সেলিম পারভেজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নির্বাচন বন্ধের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের হটকারি সিদ্ধান্ত, আমরা মনে করি অভিযোগ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত রহস্যজনক ও চক্রন্তমূলক, ভোটের মাঠে একটা লাশও পড়লো না, একটা মানুষও আটক হল না ও কোন গ্রুপের সংঘর্ষ হলো না তাহলে কেন বা কী কারণে ভোট বন্ধ করা হল সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।
অবিলম্বে সিইসির পদত্যাগ ও সারাদিন যে ভোট পড়েছে সেই ভোটের ফলাফলের মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণা করার দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের দিকে দৃষ্টি ছিল সবার। কারণ গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনো সংসদীয় আসনে ভোটের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার সকাল থেকে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোটারের পরিচয় শনাক্তের পর গোপন কক্ষে থাকা ব্যক্তি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আসতে থাকে। ১৪৫টি কেন্দ্রে স্থাপন করা এক হাজারের ২শত সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ ঢাকায় বসেই পর্যবেক্ষণ করে বিভিন্ন অনিয়ম ও কিছু জায়গায় সিসি ক্যামেরা বিছিন্নের দৃশ্য দেখে নির্বাচন কমিশন। এরপর একে একে ৫১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়। পরে নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে গেছে বলে ইসি গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট স্থগিত করে দেয় ।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: