
মণিরামপুর প্রতিনিধি।। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ৮ নং হরিহরনগর ইউনিয়নের মধুপুর ভূমিহীন পরিবারের মাঝে আশ্রয় প্রকল্পের ঘর বন্টনে সিমাহীন অনিয়মের অভিযোগ উঠলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের একাধিক নিউজ সহ ভিডিও, অডিও প্রকাশিত হয়। অডিওতে ঘর বিক্রয় করে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছেন ইজাজুল হক (মধু) তার সত্যতা প্রকাশ করেন। নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেন নিরব প্রশাসন ও ক্ষমতা ধর একাধিক যর ভাগিয়ে নেওয়া ইজাজুল হক(মধু) ও আলতাফ।
উল্লেখ্য খাস জমির উপর নির্মিত ২২ টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা হলেও দুইটি পরিবারের মধ্যে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয় একাধিক সংখ্যক ঘর। সরেজমিনে দেখা যায় ইজাজুল হক (মধু) ও আলতাফ হোসেন নামের এই দুই পরিবারের সদস্যদের নামে একাধিক ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবং যাদের নামে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তারা কেউ অত্র ইউনিয়নের বাসিন্দা না। এবং ঐ দুই পরিবারের যে নারী সদস্যদের নামে ঘর বরাদ্দ তারা সবাই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানদের সাথে বিবাহ করে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছে। এবং তাদের প্রত্যেকে একতলা, দ্বিতলা বিশিষ্ট বাড়ীর গৃহবধূ। সরেজমিনে দেখা গেছে এখনও পর্যন্ত সেই ঘরে তাদের কেউ বসবাস করতে আসেননি। ফলে এখনও খালি ঘর পড়ে থাকলেও ব্যবস্থা হয়নি মধুপুর গ্রামের অনেক ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের।
গণমাধ্যমে গত কয়েক দিন নিউজ প্রকাশিত হলে কোন প্রকার নিয়মনীতি ছাড়াই দুটি ঘর দুই পরিবারকে সাময়িক থাকতে দিয়েছেন মধু ও আলতাফ। এবং একই সাথে ঘর বিক্রয়ের টাকার চাপ দিয়ে বিভিন্ন মহলে বলে বেড়াচ্ছেন টাকা দিলে সাংবাদিক কেনাযায়। তাইতো মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী ম্যানেজ করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এবং ফোন করে মোটা অংকের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে সাংবাদিক ম্যানেজ করার চেষ্টা অব্যাহত চালিয়ে যাচ্ছেন এখনও।
এ বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল ইসলাম এর সাথে তিনি বলেন আলতাফ এবং মধু ভূমিহীন এবং তারা মূলত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের আগে থেকে এই স্থানে বসবাস করে আসছে সেই সুবাদে তারা হয়তো ঘর পেয়েছে। তবে কত সংখ্যক ঘর পেয়েছে এবং ঘর বিক্রি এমন কোন তথ্য আমি জানি না।
হরিহরনগর মধুপুর গ্রামের এই আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিক্রয় এবং ঘর বন্টনে সিমাহীন দূর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান বলেন আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে ঘর বাতিলের প্রস্তাব তৈরি করেছি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: