
রাশেদ রেজা,মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরার শ্রীপুরের আলোচিত রাজু হত্যার প্রধান আসামি শ্রীপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমানের রিমাণ্ড আবেদন নামঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে মঙ্গলবার মাগুরার শ্রীপুরে আওয়ামী লীগের দুই নেতার দ্বন্দ্বের জেরে কলেজছাত্র রাজু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার না হওয়া অন্য আসামীদের পাকড়াও করতে মরিয়া হয়ে মাঠে আছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
সংবাদ মাধ্যম জানতে পারে, রাজু হত্যার রাতে শ্রীপুর উপজেলার তখলপুর গ্রামের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত রাজুর বাবা আকতার শেখ শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মশিয়ার রহমানকে প্রধান আসামী করে ৩৪ জনের নামে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
বুধবার মামলার প্রধান আসামী মশিয়ার রহমানসহ গ্রেফতারকৃত সকল আসামীকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট বৃহস্পতিবার রিমাণ্ড শুনানী শেষে আবেদন নামঞ্জুর করলেও আসামীকে জেল গেটে দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার তখলপুর গ্রামে সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নব নির্বাচিত ইউপিরসদস্য মকবুল হোসেন এবং প্রাক্তন ইউপি সদস্য কাজী আবদুর রউফের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। মকবুল হোসেন শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এবং কাজী আবদুর রউফ উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি।
সম্প্রতি উপজেলার তখলপুর গ্রামের হাতেম আলি দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে মকবুল-রউফের বিরোধ আরো চরমে পৌঁছায়। যার জের ধরে সোমবার রাতে কাজী আবদুর রউফ সমর্থিতরা কলেজ ছাত্র রাজুর বাড়ির উপর হামলা চালিয়ে ধারালো কুড়াল দিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবার থেকে সংবাদ মাধ্যমকে জানান।
মেধাবী ছাত্র রাজু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা আকতার শেখের দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভূক্ত ৩৪ জনের পাশাপাশি অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১৫ জনকেও আসামী করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকদেব রায় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, হত্যা মামলায় এজাহারভূক্ত মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যহত করেছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: