মণিরামপুরে মাদ্রাসার মাঠ দখল করে কাঠের ব্যবসা: শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২২ ১৫:৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২২ ১৫:৩৫

ছবি সমসাময়িক
স্টাফ রিপোর্টার,মণিরামপুর(যশোর)।। যশোরের মণিরামপুরে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আহম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠটি দীর্ঘদিন দখল করে বড় বড় কাঠের মজুদ করার অভিযোগ রয়েছে। ফলে একদিকে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। অন্যদিকে কাঠের মজুদের কারনে মাদ্রাসায় যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ এ ব্যাপারে প্রশাসন রয়েছে সম্পুর্ন নির্বিকার। জানাযায়, উপজেলার  মশ্বিমনগর  ইউনিয়নের বেলতলা বাজারের পাশে আহম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসাটি অবস্থিত। মাদ্রাসাটিতে এবতেদায়ী ও দাখিল পর্যন্ত কয়েক শতাধীক শিক্ষার্থী রয়েছে। মাদ্রাসার মাঝ দিয়ে বেলতলা ভায়া বেগমপুর পাকা(পিচ) সড়ক বহমান। সড়কের বাম পাশে এবেতেদায়ী ভবন এবং ডান পাশে দাখিল শাখার ভবন। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার প্রবেশদ্বারসহ পুরো মাঠটিতে বড় বড় কাঠের স্তুপ রয়েছে। কাঠের স্তুপ টপকিয়ে মাদ্রাসা ভবনে গিয়ে কথা হয় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর নাসিম ইকবাল, তাসমিয়া খাতুন, দশম শ্রেণীর আবদুর রহমান, আছিয়া খাতুন, শিল্পী খাতুনসহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের সাথে। তারা অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রায় দুই বছর যাবত মাদ্রাসার প্রবেশদ্বারসহ মাঠটিতে বড় বড় কাঠের গুড়ি রাখায় তারা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এছাড়াও প্রবেশদ্বারের কাঠেরগুড়ি থাকায় মাদ্রাসায় আসাযাওয়া করা দুরুহ হয়ে পড়েছে। সহসুপার ইসমাইল হোসেন, সহকারি শিক্ষক আবদুর রশিদ, হালিমা সুলতানা, আইসিটি শিক্ষক নুরুন্নাহার, এবতেদায়ী প্রধান মাহাবুবুর রহমানসহ অন্য শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন কাঠের মজুদের কারনে মাদ্রাসার কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে বার বার বলা সত্তে¡ও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে প্রায় দুই বছর যাবত এলাকার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম, ইসাহাক আলী, লুৎফর রহমান, আইয়ুব হোসেনসহ ৬/৭ জন মাদ্রাসার মাঠটি দখল করে কাঠের মজুদ করেছে। এর মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হয় ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের সাথে।শিঘ্রই কাঠ সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করে তিনি জানান,  করোনার সময়ে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে মৌখিকভাবে জানিয়ে তিনি কাঠ রেখেছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সুপার আবদুস সামাদ ও ম্যানেজিং কমিটির(এডহক) সভাপতি তরিকুল ইসলাম জানান, স্থাণীয়ভাবে দলাদলি থাকায় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে মাঠ থেকে কাঠ সরিয়ে নিতে কাঠের মালিকদের ইতিমধ্যে নোটিশ করা হয়েছে। মশি^মনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, তিনি কাঠ অপসারনের জন্য বার বার তাগিদ দেওয়া হলেও ব্যবসায়ীরা কোন কর্নপাত করেননি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, বিষয়টি তাকে কেউ অবহিত করেননি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করা হলে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: