
রাশেদ রেজা, মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরা আল বারাকা ক্লিনিকের গাফিলতির কারণে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
প্রসূতি রাশিদার রক্তের গ্রুপ ছিলো ‘ও’ পজিটিভ, কিন্তু ক্রসম্যাচিং না করে তাকে দেওয়া হয় ‘এবি’ পজিটিভ রক্ত।
রক্তের সমস্যার কারণে নবজাতক সন্তানের মৃত্যু হয়, পরে প্রসূতিরও মৃত্যু ঘটেছে।
গত শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দালালের খপ্পরে পড়ে মাগুরা কাউন্সিল পাড়া এলাকায় অবস্থিত নিউ আল বারাকা ক্লিনিকে ভর্তি হন প্রসূতি রাশিদা বেগম।
ঐদিনেই রাত আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটে সিজারের জন্য আসেন চিকিৎসক দিলারা আকবর লাবনী। অস্ত্রোপচারের কিছু সময় পর নবজাতকের মৃত্যু ঘটে এবং প্রসূতির অবস্থা গুরুতর হলে ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. দিলারা আকবর লাবনী তাকে রেফার করেন।
পরে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় প্রসূতি স্বজনেরা ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান, এবং আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের সদশ্যরা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সিজারের আনুমানিক ১৫ মিনিটের মধ্যে শিশু সন্তানের মৃত্যু ঘটে এবং অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ছটফট করতে থাকেন ভুক্তভোগী প্রসূতি রাশেদা বেগম (২৮)। ক্লিনিক সূত্রে জানা যায়, ক্রসম্যাচিং ছাড়াই রক্ত প্রদানে প্রসূতি ও সন্তানের মৃত্যু ঘটে।
এ বিষয়ে ডা. দিলারা আকবর লাবনী বলেন, এখানে আমার কোনো দোষ নেই, এটা ক্লিনিকের ভুল।
মৃত প্রসূতি রাশিদা বেগম মাগুরা সদরের খর্দকুছন্দি গ্রামের মো. রমজানের স্ত্রী। প্রসূতির তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। একটি ছেলে সন্তানের আশায় মা হতে চেয়েছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে অ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক সৌমেন বলেন, গর্ভে থাকা অবস্থায় ভুল রক্ত দেওয়ায় নবজাতকেরও মৃত্যু ঘটেছে, এটা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের গাফিলতি।
মাগুরা সিভিল সার্জন শহিদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, রোগীর স্বজনদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।
অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: