মণিরামপুরে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর ইট ভাটা গুড়িয়ে দিলেও অবৈধভাবে আবাও চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:২৫

ছবি সমসাময়িক
মনিরামপুর প্রতিনিধি।। যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের দোদাড়িয়া গ্রামে ঘনবসতি পুর্ণ স্থানে ও প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের গা ঘেসে চলছে সরদার ব্রিকস ইট ভাটার কার্যক্রম। ফলে যেমন পরিবেশ দূষন হচ্ছে তেমনি ক্ষতি হচ্ছে স্কুল গামী শিশু শিক্ষার্থীদেরও। মৃদু বাতাসে ধেঁয়ে আসা ভাটার গরম হাওয়া ও কালো ধুয়াই ইতিপুর্বে স্কুলের অনেক শিশু শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে পারেনি ভাটা মালিক রবিউল ইসলামের। কারন ভাটা মালিক হলেন এলাকা প্রভাবশালী ধুরনধর ব‍্যক্তি। শুধু এই নয় ভাটা সংলগ্ন ফসলী জমি ও গাছগাছালি গিলে খাচ্ছে এই ভাটাই। এ সকল বিষয়ে অনেক জমির মালিকদের সাথে ভাটা মালিকের গোলযোগ হতে দেখা গেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সরদার ইট ভাটাটি গড়ে উঠেছে প্রাথমিক বিদ‍্যলয়ের গা ঘেষে ও ঘনবসতি এলাকায় এবং ফসলী জমির সাথে। এমন অভিযোগ বার বার সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে পড়ায় গত বছর বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বুল ড্রেজার দিয়ে ভাটার ক্লিন ভাংচুর করে ভাটাটি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ভাটা মালিক পুনরায় ঐ ক্লিন গেঁথে আবারও ইট পোড়ানো শুরু করে। অভিযোগ উঠেছে ঐ সময় ভাটা মালিক যশোরের কাস্টমসকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে পূনরায় ভাটা চালু করেছিল। অফিস সুত্রে জানা গেছে, সরদার ব্রিকস চালু করার জন‍্য ও কাগজ করার জন‍্য আবেদন করেছিল সেই আবেন ফেলে দেছে। অথচ কেমনে করে কাগজ পত্র ছাড়া ভাটাটি চলছে এই নিয়ে রিতিমত এলাকায় গুঞ্জন চলেই আসছে। ধারনা করা হচ্ছে ইট ভাটা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে মোটা অংকের দিয়ে দিয়ে সম্পুর্ণ রুপে অবৈধ ভাবে ইট ভাটাটি চালাচ্ছে ভাটা মালিক রবিউল ইসলাম। অবৈধভাবে গড়ে তোলা সরদার ইট ভাটায় ইতি পুর্বে বিদ‍্যুৎ সংযোগ না থাকায় অবৈধভাবে পাশের এক বাড়ি থেকে লাইন টেনে এনে আলো জালাতো। সেদিনও অবৈধভাবে বিদ‍্যুৎ লাইনের তারে জড়িয়ে দোদাড়িয়া গ্রামের এক যুবকের প্রান গিয়েছিল। ভাটা মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় সেদিন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রক্ষা পেয়েছিল ভাটা মালিক। উপজেলার বিভিন্ন ভাটা ঘুরে একটাই বিষয় নজরে এসেছে, দোদাড়িয়া গ্রামের সরদার ব্রিকস এর গাঁ ঘেঁসে যেমন বিদ‍্যালয় রয়েছে ও বিভিন্ন পরিবারের বসতভিটা আছে এমন দৃশ‍্য আর কোন ভাটাই পড়েনি। এ সকল বিষয় নিয়ে ইতি পুর্বে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও নজরে আসেনি কতৃপক্ষের। যার কারন হিসাবে অপর এক ভাটা মালিক বলেছেন আপনারা যত পত্রিকায় লিখবেন অফিসারদের ঘুষের ভাগ তত বেশি হবে। বিনিময়ে আপনারা কিছুই পাবেননা। তিনি আরো বলেন, সিজনে কাস্টমসসহ অন‍্যন‍্য অফিসে প্রচুর পরিমানে টাকা দিতে হয়। যার কারনে আপনারা যতই লেখেন না কেন ভাটা বন্ধ হবে না। ভাটা বন্ধ করতে হলে এক মাত্র বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরীই পারে ভাটা বন্ধ করতে। স্থানীয়দের দাবী ইট ভাটাটি বন্ধ হলে যেমন বাঁচবে শিশু শিক্ষার্থীরা তেমন বাঁচবে আশপাশের ঘনবসতি সাধারণ মানুষ। রক্ষা হবে আবাদী জমির ফসল ও বিভিন্ন ফলফলাদি গাছগাছালি। তাই অবৈধভাবে চালু করা সরদার ব্রিকস ইট ভাটাটির দিকে নজর দিতে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: