খুলনায় নার্সারি ব্যবসায় সফলতা-স্বাবলম্বী অনেকেই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:২৬

ছবি সমসাময়িক

মোঃ মানছুর রহমান (জাহিদ)।।

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নার্সারি ব্যবসার প্রসার ঘটছে। নার্সারি করে বহু মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা। এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে। ছোট বড় শতশত নার্সারি গড়ে উঠেছে এ উপজেলায়। যাদের আয়ে শত শত মানুষের জীবন-জীবিকা চলে। পাইকগাছা উপজেলা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ না হলেও সম্ভাবনা রয়েছে অনেক। উৎপাদিত হয় অনেক কৃষিপণ্য। তবে এখানকার কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে নার্সারী শিল্প।এ এলাকার উৎপাদিত চারা যাচ্ছে দেশ-বিদেশে। বিভাগীয় শহর খুলনা থেকে এই উপজেলার দূরত্ব মাত্র ৬০-৬৫ কিলোমিটার হওয়ার যে কোন কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাত করতে পারায় দিন দিন কৃষক ঝুঁকছে কৃষিতেই।জানা যায়, এসব নার্সারিতে প্রায় অর্ধশত প্রকারের ফল, অর্ধশত প্রকারের বনজ ও প্রায় তিন শ’ প্রকারের দেশি-বিদেশি ফুল, মসলা, ভেষজ, ক্যাকটাস ইত্যাদি জাতীয় চারা ও কলম তৈরি করা হয়। প্রতিবছর এসমস্ত নার্সারি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির চারা ও কলম বিক্রি হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও বিদেশে পাইকগাছার নার্সারির চারা বা কলমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।অনেকে ফসলের ক্ষেতের পরিবর্তে উঁচু ভিটা বা পতিত জমি বর্গা কিংবা লিজের মাধ্যমে নিয়ে নার্সারি গড়ে তুলেছেন। মালিক, শ্রমিক, পরিবহনকারীসহ নার্সারির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শত শত মানুষ। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পাইকগাছা উপজেলার খুলনা-কয়রা মহাসড়কের দু’পাশেই রয়েছে বহু নার্সারি এবং চারা বিক্রির মোকাম। মৌসুমে নার্সারিতে ছাড়াও বিক্রির জন্য চারা ও কলম বিভিন্ন হাট বাজারে সারি দোকানে মজুদ করা হয়। দূরদূরান্ত থেকে পাইকারি ক্রেতারা এসে ট্রাক কিংবা অন্য পরিবহন যোগে বিপুল সংখ্যক চারা ও কলম কিনে নিয়ে যান এ উপজেলা থেকে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে, নার্সারি ব্যবসায়ী মোঃ আরশাদ আলী গাজী জানান, আমি একজন সামান্য ক্ষুদ্র নার্সারি ব্যবসায়ী। আমি আনুমানিক ৬-৭ বছর যাবত নার্সারি ব্যবসা করে আসছি। নার্সারি ব্যবসা করে বর্তমানে আমি অনেকটাই স্বাবলম্বী। বর্তমানে আমার নার্সারিতে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফল সহ আরো অনেক ভিন্ন ভিন্ন জাতের চারা রয়েছে। আশা করি এবারও আমি আমার এই নার্সারি হতে বিপুল লাভবান হবো।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: