
মোঃ মানছুর রহমান (জাহিদ)।। খুলনায় চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে।তবে, ডিম, মাছ, পেঁয়াজ ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।
৩০ জানুয়ারি (রোববার) খুলনার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে, যা আগে ছিলো ৪৮টাকা, প্যাকেট আটা ৪২ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ৪৩ টাকায়। এছাড়া মসুর ডাল (মোটা দানা) কেজিতে বেড়েছে ৩-৪ টাকা। আর ছোট দানা বেড়েছে কেজিতে ৫-৬ টাকা। এছাড়া প্যাকেট আটা ও প্যাকেট ময়দার দাম কেজিতে বেড়েছে ৩-৫ টাকা।এদিকে চালের দাম আবারও বেড়েছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার মাঝারি চাল কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৫৬ টাকায়। রোববার সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, দুই দিন ধরে তেলের দাম বাড়তি। বোতল সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫-৮ টাকা বেড়েছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। পাম অয়েলের দামও লিটারে ৫-১০ টাকার মতো বেড়েছে।এদিকে নগরীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কমেছে। পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা।ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০-১৪৫ টাকা।
পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি এখন ২৩০-২৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০-২৮০ টাকা।ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৪৫-৫০ টাকা। আলুর কেজি এখন ১০-১২ টাকা। এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯৬ টাকায়।টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, রিয়া বাজার, ময়লাপোতার সান্ধ্য বাজারসহ বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৪০, বেগুন ৫০-৫৫, আলু ১২-১৫, দেশি পেঁয়াজ ২৫-৩০, পেঁপে ২০-২৫, গাজর ৩৫-৪০, শিম কেজি প্রতি ৩০-৪০, ওলকপির কেজি ২০, বরবটি ৬০, ফুলকপি ৪০ ও লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এ ছাড়া লাল শাকের আঁটি ১৫ ও পালং শাকের ১৫, মিষ্টি কুমড়া ৩০, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০۔৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের ব্যবসায়ী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সবজিতে বাজার ভরপুর। তবে দাম কেনো কমছে না এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি।আরেক ব্যবসায়ী জামিরুল হাওলাদার বলেন, ‘বাজারে সবজির অনেক সরবরাহ। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিপ্রতি অন্তত দুই টাকা বাড়তি।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: