
স্বাধীন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর থেকে।।
আসন্ন যশোর সদর উপজেলা উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হতে চান প্রয়াত মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আলী রেজা রাজু'র সহধর্মিণী ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিসেস ফিরোজা রেজা ।উন্নয়নে ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার প্রার্থী হতে চান তিনি। ফিরোজা রেজা সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, সাবেক সফল পৌর চেয়ারম্যান, সাবেক যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক কমিশনার আলী রেজা রাজু'র স্ত্রী। তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য,ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, খাজা গরীবে নেওয়াজ মহিলা এতিমখানার প্রতিষ্ঠাসভাপতি, রোটারি ক্লাব সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সাথে জড়িত। আলী রেজা রাজু'র রাজনৈতিক ইতিহাসঃ গণমানুষের নেতা হিসেবে আলী রেজা রাজু মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে যশোর অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধাদের সংগঠন করা,তাদের ট্রেনিং করানো, অস্ত্র গোলাবারুদ সরবরাহ করে, খাবার সরবরাহ করে এই অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।তার আপন ছোট ভাই রাজেক আহমেদ যশোর জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদ এর সর্বশেষ নির্বাচিত জেলা কমান্ডার। তিনি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু স্বাক্ষরিত যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত হন।১৯৯৬ তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রতিস্ঠাতা সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান আমৃত্যু সেই দায়িত্ব পালন করেছেন।২০০২-২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক (১) এর দায়িত্ব পালন করেন।২০০৪ সালে বিদেশে অবস্থান করা অবস্থান যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৬ সাল হতে ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই আমৃত্যু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির অন্যতম সদস্যর দায়িত্ব পালন করেছেন। মিসেস ফিরোজা রেজার প্রয়াত স্বামী আলী রেজা রাজু ১৯৭৩ ও ১৯৭৮ সালে যশোর পৌরসভার কমিশনার নির্বাচিত হন।১৯৮৮ সালে তিনি যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।পরের বছর তিনি যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।১৯৯২ সালে তিনি যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৮৭(যশোর -৩) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।এর পর ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পরাজিত হন ও ২০০৮ সালের জাতীয় সালে জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন পেয়ে শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচন করতে পারেন নাই। তার কনিষ্ঠ জামাতা নায়ক ফেরদৌস আহমেদ বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,সাংস্কৃতিক উপকমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। জনকল্যাণমূলক কাজে আলী রেজা রাজু'র সক্রিয় অংশগ্রহণঃ তিনি ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ, রুপদিয়া শহীদ স্মৃতি কলেজ, রদ্রপুর মুক্তিযুদ্ধা কলেজ, সলুয়া আর্দশ কলেজ, মুন্সি বেলায়েত আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোপ সেন্ট্রাল রোড জামে মসজিদ, শানতলা হেফজ খানা, এতিমখানা সহ অসংখ্য সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজ উদ্যোগে।এমপি হিসেবে তিনি রেকর্ড ১১৪ অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিষ্ঠার সাথে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।যশোর সদর উপজেলার রাস্তাঘাট উন্নয়ন কাজে আলী রেজা রাজু অংশগ্রহণ করেছিলেন।উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে পারিবারিক স্বাস্থ্য সেবা ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন করেন।তার আমলে যশোর সদর উপজেলার নিরাপত্তায় ১৭ টি পুলিশ ফাঁড়ী/ক্যাম্প স্থাপিত হয়। রাজনৈতিক কর্মকান্ডে মিসেস ফিরোজা রেজার সক্রিয়তাঃ তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার অস্ত্র পৌঁছে দিতেন। ১৯৯৭ হতে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ কে সংগঠিত করতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সফরে গিয়েছেন, প্রোগ্রাম করেছেন এবং তার উপর অর্পিত দাযিত্ব পালন করেন।দলের প্রয়োজনে সব সময় পাশে থেকেছেন তিনি।২০১৬ সালে তার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি উপজেলার প্রতি গ্রামে,শহরে, পাড়ায়-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ,শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল সহযোগী ও অংগসংগঠন গুলি সংগঠিত করে চলেছেন। তিনি ২০১৯ সালের গঠিত যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে অন্যতম সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২০-২০২১ সালের ভয়াবহ করোনা মহামারীতে তিনি নিজস্ব তহবিল থেকে যশোর সদর উপজেলা বাসীর জন্য কয়েক হাজার পরিবার কে ত্রাণ (খাদ্য) সহায়তা, রান্না খাবার বিতরণ কর্মসূচি, অনেক কে চিকিৎসা ও ঔষধ সহায়তা এবং প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্য অক্সিজেন সিলিন্ডার সহায়তা প্রদান করেছেন। বর্তমানে যশোর সদর উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি বিদ্যমান রয়েছে। সম্ভাব্য উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মিসেস ফিরোজা রেজা বলেন, আমার স্বামী জনস্বার্থে ও জনকল্যাণে সারা জীবন কাজ করে গেছেন। বর্তমানে আমি যশোর সদর উপজেলার জনগণের চাওয়া ও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী যশোর সদর উপজেলা উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করতে চাই। দল আমাকে নৌকা মার্কা দিলে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হব (ইনশাআল্লাহ)।আমি যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে যশোর সদর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলার লক্ষ্যে কাজ করব। অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করব।যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে মাদক দুর্নীতিসহ সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলব। তিনি আরো বলেন, আমার ও আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।আমার স্বামী প্রয়াত আলী রেজা রাজু ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ।নেত্রী অবশ্যই তার প্রায়ত স্বামী ও তার পরিবারের দলের প্রতি ভালোবাসা ও দলীয় কর্মকান্ডের অবশ্যই মূল্যায়ন করবেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: