আ.লীগের যশোর জেলা কমিটির অনুমোদন, উপদেষ্টা পরিষদের তালিকায় মৃত ব্যক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২১ ১৮:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২১ ১৮:২১

ছবি সমসাময়িক

যশোর প্রতিনিধি।।

সম্মেলনের ২০ মাস অর্থাৎ প্রায় দুই বছর পর যশোরে আ.লীগের জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন এই কমিটিতে সভাপতির ছেলে ও আত্মীয়রাও পেয়েছেন স্থান। বাদ পড়েছেন গত কমিটির অনেকেই। গতকাল শুক্রবার অনুমোদন দেওয়া ১৯ উপদেষ্টাসহ ৯৪ সদস্যের এই কমিটিতে তরুণ ও সাবেক ছাত্রনেতারা স্থান করে নিয়েছেন। এবারের এই কমিটিতে সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছেন তার ছেলে, ভায়রা ও শ্যালক। যশোরের রাজনীতিতে অচেনা অনেকেও ঠাঁই পেয়েছেন কমিটিতে। এ প্রসঙ্গে সভাপতি বলেন, পুরোনোরা কেউ কেউ বাদ পড়বেন, নতুন মুখ আসবে- এটাই স্বাভাবিক। আর আমার পরিবারের যারা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন, তারা আগে থেকেই রাজনীতি করতেন। সব মিলে কমিটি ভালো হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘ ২০ মাস পর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুক্রবার পূর্ণাঙ্গ এই কমিটি অনুমোদন দেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহসভাপতি হয়েছেন আব্দুল মজিদ, হায়দার গণি খান পলাশ, সাইফুজ্জামান পিকুল, আব্দুল খালেক, একেএম খয়রাত হোসেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী রায়হান, গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট জহুর আহমেদ, অ্যাডভোকেট এবিএম আহসানুল হক, মেহেদী হাসান মিন্টু ও এসএম হুমায়ুন কবীর কবু। কমিটির বিভিন্ন পদে রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, আশরাফুল আলম লিটন ও মীর জহুরুল ইসলাম; আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদের; কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু সেলিম রানা; তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমেদ কচি; ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুখেন মজুমদার; দপ্তর সম্পাদক মজিবুদ্দৌলা কনক; ধর্মবিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুন্সী মহিউদ্দিন আহমেদ; বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সাঈফুদ্দিন সাইফ; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল কবির বিপুল ফারাজী; মহিলাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সেতারা খাতুন; মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ; যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপী; শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এএসএম আসিফ-উদ-দৌলা; শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর বাবু; শ্রম সম্পাদক কাজী আব্দুস সবুর হেলাল; সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী বর্ণ উত্তম; স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. এমএ বাশার; সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন, মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু; উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার; উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লুৎফুল কবীর বিজু ও কোষাধ্যক্ষ মঈনুল আলম টুলু। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, এমপি রনজিত রায়, এমপি মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন, মোহিত কুমার নাথ, আলেয়া আফরোজ, ফিরোজ রেজা আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ খাইরুজ্জামান রয়েল, এনামুল হক বাবুল, কৃষিবিদ আব্দুস সালাম, ফারুক হোসেন, সরদার অলিয়ার রহমান, মেহেদী মাসুদ চৌধুরী, শওকত আলী, আসাদুজ্জামান মিঠু, আসাদুজ্জামান আসাদ, মীর আরশাদ আলী রহমান, আনোয়ার হোসেন মোস্তাক, মোস্তাফা আশিষ দেবু, প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন দিপু, কামাল হোসেন (শহর), অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, রফিকুল ইসলাম মোড়ল, মসিউর রহমান সাগর, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ, এহসানুর রহমান লিটু, গোলাম মোস্তফা, সামির ইসলাম পিয়াস, আলমুন ইসলাম পিপুল, অমিত কুমার বসু, নাজমা খানম, ভিক্টোরিয়া পারভিন সাথী, হুমায়ুন সুলতান ও মারুফ হোসেন খোকন। গত কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর রোকেয়া পারভীন ডলি, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কাজী রফিক ও দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু নতুন কমিটিতে স্থান পাননি। অভিযোগ উঠেছে সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের ছেলে সামির ইসলাম পিয়াস সদস্য হয়েছেন। ভায়রা শেখ আতিকুর রহমান বাবু শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং শ্যালক হুমায়ুন কবির কবু হয়েছেন সহসভাপতি। এর মধ্যে শ্যালক আগের কমিটিতে থাকলেও নতুন যুক্ত হয়েছেন ছেলে ও ভায়রা। এছাড়াও নতুন কমিটিতে বেশ কয়েকজন রয়েছেন, যারা যশোরের রাজনীতিতে অচেনা। তাদের মধ্যে রয়েছেন বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সাঈফুদ্দিন সাইফ, প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন দিপু, অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, আলমুন ইসলাম পিপুল ও অমিত কুমার বসু। যশোরের ছেলে অমিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুবাদে এখন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ব্যক্তিগত সহকারী। তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও রয়েছেন। যদিও যশোরের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা তাকে চেনেন না। প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন দিপু ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন, বসবাসও সেখানে। এরকম আরও কয়েকজনের সঙ্গে নেই জেলার রাজনীতির কোনো সম্পর্ক। এদিকে জাতীয় দৈনিক সমকাল সূত্রে জানাযায়  উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পাওয়া গোলাম রসুল মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগেই। শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল জানান, প্রয়াত গোলাম রসুল স্থানীয় গোগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: