কেশবপুরে মাদক, সন্ত্রাসী,নিয়োগ বাণিজ্য, চাঁদাবাজদের ঠাঁই নেইঃ এমপি আজিজুল ইসলাম

অলিয়ার রহমান | প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী ২০২৪ ০১:২০

অলিয়ার রহমান
প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী ২০২৪ ০১:২০

ছবিঃ নিউজ

অলিয়ার রহমান,কেশবপুর প্রতিনিধিঃ


যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্ব কনিষ্ঠ নির্বাচিত সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলাম (খন্দকার আব্দুল আজিজ ) বুধবার শপথ নিয়েই বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বনানী কবরস্থানে প্রয়াত সাবেক সফল শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচকে সাদেকের কবর জিয়ারত করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি যশোর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে আগে থেকেই অধীর আগ্রহে কর্মী সর্মথক ও এলাকাবাসীসহ নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করেন। কর্মী সমর্থক ও গাড়ীবহর নিয়ে এমপি আজিজুল ইসলাম একটি খোলা জিপ (হুট ) গাড়িতে চড়ে নির্বাচনী এলাকা কেশবপুরে পৌঁছালে প্রেসক্লাব থেকে মেইন রোডের দুই ধারে সর্ব সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা যায় এসময় দর্শকদের হাত নেড়ে অভিনন্দন জানান এবং সর্ব স্তরের মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন এবং উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কেশবপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম (পাবলিক মাঠে)উপস্থিত কর্মী-সমর্থকসহ কেশবপুরবাসীর উদ্দেশ্যে সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলাম বলেন কেশবপুর উপজেলায় কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ,চাঁদাবাজী , মাদক ব্যাবসা ও মাদক সেবন ,ঘের দখল, টেন্ডারবাজী-সহ কোন দখলবাজি করা যাবে না। নিয়োগ বাণিজ্য করা যাবে না। কেশবপুরে মেধা যাচাইয়ের ভিত্তিতে চাকুরী হবে। অন্যায়ভাবে কাউকে হয়রানি করা যাবে না। কেশবপুরে কেউ কোন অপরাধ কর্মকাণ্ড করলে তার কোন ক্ষমা হবে না সে হোক আমার ভাই, আত্বীয়,কর্মী সমর্থক বা আপনজন কেউ। আর আপনারা খেয়াল রাখবেন এমপির নাম ভাঙিয়ে কেউ অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করছেন কিনা আপনারা আমাকে জানিয়ে সহযোগিতা করবেন সাথে সাথেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেশবপুরে থাকবে সুন্দর পরিবেশ।
এমপি আজিজুল ইসলাম আরো বলেন, কেশবপুর উপজেলা বাসি আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। যারা আমার জন্য কষ্ট করেছেন, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কেশবপুর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচ কে সাদেক ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের ভালোবাসার জায়গা। আমি তাঁদের অনুসারী। নির্বাচনে যারা আমাকে ভোট দেয়নি, আমার বাইরে নির্বাচন করেছে, তাদেরকে আঘাত করা যাবে না। তাদেরকে আঘাত করলে তাদের পরিবারের লোকজনও কষ্ট পাবে। আমাদের দ্বারা কেউ যেন কষ্ট না পায় সে দিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। আমি চাই কেশবপুর উপজেলার প্রতিটি পরিবার আমাকে যেন তাদের সন্তান মনে করে। আমি কেশবপুর বাসির সন্তান হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই। আমি আপনাদের সুখ-দুখের সাথী হয়ে থাকতে চাই। কেশবপুরের প্রশাসন যেভাবে বলবে আমরা সেইভাবে চলবো। আমরা আইন মেনে চলবো। আমরা কেউ আইনের উর্ধ্বে নই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কেশবপুর পাবলিক ময়দানে উপস্থিত জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।#




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: