কবি- আব্দুল আলীম এর সেরা বাছাই করা দশ কবিতা প্রকাশিত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২১ ০৪:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২১ ০৪:১৮

ছবি সমসাময়িক

১. ভবদহের ইতিবৃত্ত আব্দুল আলীম

ভবদহের নামটি যারা শুনেছেন ব‍্যাপক তারাই শুধু জানেন সেথায় আছে কি চমক।

ষাট দশোকে লাখো চাষী দেখলো সম্ভাবনা স্লুইজ গেটে পানি আটকাবে ফসল হবে আগোনা।

বছর বিশেক নোনা পানি আটকালো তা বেশ চাষীর ঘরে উঠলো ফসল শান্তির পরিবেশ।

কিন্তু শেষে পলির পাহাড় বাধলো গেটের মুখে আশি নব্বই র বন‍্যা দিলো সকল শান্তি রুখে।

জনগন সব এক হও সরাও পলিমাটি জোয়ার এলে ঘোলাও পলি বাচুক বাস্ত ঘাটি।

ছয় নয় একুশ ফুকন পলিতে সব ভরা কান্না হল সংগের সাথি কৃষক কর্ম হারা।

বাঁচার কি উপায় আছে খোঁজো শেষমেশ আটটির বেশী দফা দিলো হাসকো- এসোসিয়েটস্।

সবার মাথায় ভাবনা দেখে ভাবেন দেশের সরকার বিলে বিলে ওঠাও পলি করো জোয়ারাধার।

সাথে সাথে নদী বক্ষে চললো ড্রেজার সাতাশ বিলের সরবে পানি ফলবে ফসল আবার।

কিষাণ কিষাণির সাথে সেথায় আর্মি একাকার ভাত কাপড়ের দুখ্ হেরিতে করে অংগিকার।

শাপলা যখন ফোটে বিলে নৌকা আনে ভ'রে শহর ঘাটে বেচে তাহা জঠর ঠাণ্ডা করে।

পলির পরে উঠলো গ'ড়ে ভবদহ কলেজ তার ছোয়াতে শিক্ষার্থিরা পায় যে কিছু নলেজ।

ভবদহের কথা লিখতে সময় লাগে বেশ তাই তো আমি কলম রেখে লেখা করলাম শেষ। =================0=================

২. ফেব্রুয়ারির একুশ

ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ বিশ্বে সেরা ক‍্যান? বাংলা ভাষার তরে হেথায় বুলেটে যায় প্রাণ।

পাকিস্তানি শোষকেরা দেশ করে শোষণ। আর বীরবাঙ্গালী স্বাধীনতার স্বপ্ন করে পোষণ।

এই ভরসায় ভাষা জয়ে বাড়ে অঙ্গীকার স্বপ্ন তাদের পূরণ হবে আসবে স্বাধিকার।

ভাষার খাতায় অঙ্ক কষে জাতিসংঘ কয় বিশ্বব‍্যাপী গাইবে সবে বাংলা ভাষার জয়। =================0=================

৩. প্রিয় শাহ জালাল

যেদিন থেকে লেখালেখি ফেসবুকের পাতায় সেদিন থেকে জালাল ভিন্ চোখে তাকায়।

লেখেন কেন শাপলা নিয়ে জবাব আমি চাই প্রিয় ছাত্র নিয়ে লেখার কিছুই কি নাই ?

কিভাবে যে বলি তারে শোন শাহ জালাল তুমিও কিন্তু খুবই প্রিয় যেমন দুলাল আলাল।

যখন আমি ক্লাশ করি বোঝাই কিছু মাত্র বুঝে নেয়ার কৌশলে কেউ হয় যে প্রিয় ছাত্র।

হেথায় হোথায় যেথায় আমি খোকা ডাক পাড়ি তুমিও মোর খোকার মত কোথাও নাই আড়ি।

তোমার চলার পথের কাঁটা দুর হয়ে যাক দুর এগিয়ে চলার সুখ পাখিটা যাক সে বহু দুর।

=================0=================

৪. ইলিশ

এবং এবার ইলিশ হবে কবিতার ভাষা গ্রাম নয় শহর ঘাটেও ইলিশের স্বাদ খাসা।

গায়ে তাহার রূপালী রং থাকে অহর্নিশ বাঙলাদেশের জাতীয় মাছ নামে যে ইলিশ।

বিশ্ব সভায় ইলিশ মাছের আছে যে কদর তাই তো মোরা লরিতে দেই ইলিশের বহর ।

ডিম পাড়ার সময় হলে মা-মাছ আসে কূলে তখন যেন কেউ ধ'রো না মৎস আইন ভুলে।

সৌদি ইউএস কুয়েত কাতার কিম্বা লেবানন ইলিশ মাছের গুনের কথা জানেন সর্বজন।

জাতীয় আয়ের রস ভান্ডারে রূপালী ইলিশ স্বাদের সাথে আরো যে পাই দরকারী আমিষ =================0=================

৫. জাতীয় পাখি দোয়েল

জাতীয় পাখি দোয়েল সেতো থাকে আশেপাশে মধুর কন্ঠে ডাক শুনে তার ঘুমটা সবার নাশে।

খুব যে ছোট নয় পাখিটা রঙ্গিন তার ই গা স্রষ্টার ই রং তুলিতে সে পাকা রং এ রাঙ্গা।

টুইট টুইট টুট টুট ডাকে দোয়েল পাখি গাছের শাখায় পুচ্ছো নাচায় ভরে দুটি আখি।

কবির যত কল্পনা সব কবিতায় আঁকে মা জননী শিশুরে কয় শোন দোয়েল ডাকে।

সবুজ শ‍্যামল দেশে আমার পাখ পাখালির ডাক পাখির ডানায় গাঁয়ের শোভায় প্রশান্তির ই হাঁক।

জারি সারি কাওয়ালী আর হরেক পাখির বাস এসব যেন সবার তরে শান্তি সুখের শ্বাস। =================0=================

৬. জাতীয় পশু বাঘ

জাতীয় পশু বাঘ থাকে গভীর সুন্দর বনে তার হুঙ্কারে হরিণগুলো পালিয়ে বাঁচে জানে।

যাদু ঘরে তারাই করে দর্শক আকর্ষণ জীব বৈচিত্র রক্ষা কল্পে তাদের প্রয়োজন।

মধু কিবা কাঠ আনিতে বাওয়ালি যায় বনে ভয়ে থাকে প্রাণ না যায় বাঘের আক্রমণে।

রয়েল বেঙ্গল টাইগার নামে এরাই বিশ্ব সেরা পাবে কি তুমি খোঁজো যদি সুদুর সাহারা ।

বিশেষ কায়দায় বিশেষ ঢং এ সুন্দর বনের বাঘ শীতেও তারা হয়না কাবু আসুক যতই মাঘ।

লিভ করিতে কিল করিতে বাঘেরা ব‍্যস্ত বন রক্ষায় চাই যে সবার প্রসারিত হস্ত। =================0=================

৭. শাপলা ফুলের কদর

শাপলা যখন ফোটে বিলে কত মনোহর তালের ডোঙ্গায় শিশুরা হয় তাদের সহচর ।

দেশ বিদেশে শাপলা ফুলের আছে যে কদর ফোটায় যে তার রূপের বাহার সাংবাদিকের বহর।

হেরিতে তার রূপ লাবন‍্য আসেন পর্যাটক ঝিলে ফোটা শাপলা দেখে তারাই হতবাক।

ডগা তাহার লম্বা অতি খাইতে সুস্বাদু শহর ঘাটে বিলায় তাহা গায়ের বুড়ো দাদু ।

শাপলা মোদের জাতীয় ফুল জানেও গাঁয়ের বধু তার ই ঢ‍্যাপের খৈ ভাজাতে লাগে মজা শুধু।

তুমি যদি আসো বন্ধু বিল আড়পাতায় শাপলা ফুলেই ভরবো আঁচল আমার সোনার গাঁয়। =================0=================

৮. জোয়ার ভাটার জয়

বিকল হলো হরিহর নদী নেই সেখানে পানি নদীবক্ষ ভরাট দ‍্যাখো বালি মাটির খনি।

এদেশ এখন নদী মাতৃক মুখেতে সবার কিতাবেতেই নদী ভরা বুকে ধুধু চর।

ট‍্যাকা নদী গভীর ছিলো ছিলো পরিধি নৌকা ডুবলেই ঘটতো প্রায়ই সলিল সমাধি।

নেই কোনো স্রোত ধারা নেই সেখানে পানি বর্ষাকালে নদী বক্ষে জেলের হাটু পানি।

ভবদহের গেট থেকে ঘ‍্যাঙরাইলের বাক বেশির ভাগে নাইতো স্রোত আছে শুধু ডাক।

জল নেই বারি নেই শুধু হাহাকার দেশ বিদেশের অম্বু হিসাব প্রায় ই ম‍্যাসাকার।

হাজার কিলো নদী খনন সেটাও সহজ নয় নদী বক্ষ গভীর পেলেই জোয়ার ভাটার জয়। =================0=================

৯. সুর্য গ্রহন, চন্দ্র গ্রহন

সূর্য গ্রহন ছিলো দিনে চন্দ্রের টা রাতে কথায় আছে ভাত দিওনা পোয়াতিদের পাতে।

গ্রাম গঞ্জে এখনো সেই পুরোনো সুর বাজে সাবধানেতে চলো সবাই ভ্রমণ কিম্বা কাজে।

গ্রহন যেনো দ্রুত যায় সব স্বাভাবিক রেখে মানুষ গুলো পার হয়ে যাক সকল বিপদ থেকে।

বিপদ মুক্ত হবার দোয়া চলে খোদার ঘরে পুরোহিতে বসেন পূজায় প্রাণের মন্দিরে। =================0================= ১০. ঈদ করোনায় ভাবনা

ঈদের খুশি নাইতো কারো কোভিড করোনায় মসজিদেতে পড় নামাজ ঈদের মাঠে নয় ।

মানো বিধি বাচাও জীবন যে ভাবেতে পারো হৃদয় মাঝে যত জ্বালা সব ই হজম করো।

খোদার গজব এই করোনা কেউবা তাহা বলে নইলে কেনো তার থাবাটা বিশ্বব‍্যাপী চলে।

চলতে হবে নিরাপদে সাবধানেতে পা দ‍্যাখেন যেন শিশুর হাসি সব গায়েরই মা ।

শিখন পঠন কার্যক্রমে আসুক বিদ‍্যালয় বন্ধ‍্যাত্ব ভাব কেটে উঠুক আলোর শিক্ষালয়।

স্রষ্টা যেন পরিবেশটা করেন স্বাভাবিক ধর্মভেদে তার ই কাছে চাইবো মোরা ভিখ্ । =================0=================




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: