
ডা. মেহেদী হাসান।।
মানব দেহের জন্য অন্যান্য নিউট্রিয়েন্ট এর পাশাপাশি ভিটামিন -‘এ’ এর চাহিদাও অনেক। এজন্য প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী শরীরের জন্য যতটুকু পরিমান ভিটামিন -‘এ’ এর চাহিদা রয়েছে সেই চাহিদা পূ্রণ করা উচিত। কারণ শরীরে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে হতে পারে নানা ধরনের জটিলতা।
প্রথমত চোখের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে যেমন:
☑চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
☑অল্প আলোতে দেখতে কষ্ট হয় সেই সাথে রাতকানা রোগ দেখা দেয়।
☑চোখে শুষ্কতা দেখা দিয়ে থাকে।
☑অনেক সময় চোখের কর্নিয়াতে ইনফেকশন হয়ে থাকে। ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যায়।
☑চোখের কোণায় বিটট্স স্পট পরে অর্থাৎ চোখে দাগ পরে যায়। এছাড়া ত্বকেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন:চামরায় গুটি উঠা,জীবানু আক্রমণ করা,চুলকানী ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় এই ভিটামিন এর অভাবে।
এসব রোগ প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। গর্ভাবস্থায় ও স্তনদানের সময় মাকে পরিমান মতো ভিটামিন ‘এ’ যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে গ্রহণ করতে হবে । যাতে গর্ভের শিশুটির ভিটামিন এর ঘাটতি না হয়। সেই সাথে শিশুর বাড়ন্ত বয়সে ও প্রাপ্ত বয়সে প্রয়োজন অনুযায়ী এ ভিটামিন গ্রহণ করতে হবে।
যেসব খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ‘এ’:ডিম,দুধ ,পনীর,বাটার,রঙ্গিন শাক সবজি ও ফলমূল যেমন:মিষ্টি কুমড়ো ,পাকা পেপে,গাজর,সবুজ শাক-সবজি ,লাল শাক,কমলা,আম,,মিষ্টি আলু ইত্যাদি ।
সুতরাং আপনার নিজের চাহিদা অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন। কারণ শরীর সুস্হ রাখতে ভিটামিন এর কার্যকারীতা অনেক এটি দেহের টিস্যু গঠণে সহায়তা করে। সেই সাথে পরিপাকতন্ত্ররে ঠিক রাখে পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
লেখক,
চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: