শামুক শাঁসে জীবিকা চলে মণিরামপুরের ভবদহ অঞ্চলের মানুষের

সমসাময়িক নিউজ ডেস্ক।। | প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:২৬

সমসাময়িক নিউজ ডেস্ক।।
প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:২৬

ছবি- দৈনিক সমসাময়িক নিউজ।

মোঃ শাহ্ জালাল।। শামুক শাঁসে জীবিকা এটা একসময় গ্রামের এক-দুই জন করলেও এখন এ পেশায় নিয়জিত যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ভবদহ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ।

বিশেষ করে যশোরের তিন উপজেলা অভয়নগর, মণিরামপুর কেশবপুর ও পার্শ্ববর্তী উপজেলায় মাছের ঘেরে উৎকৃষ্ট খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয় শামুকের ভেতরের শাঁস। শামুক ভেঙে ভেতরের এই শাঁস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে উপজেলার শতশত নিন্ম ও মধ্যবিত্ত আয়ের পরিবার গুলো।

সরেজমিনে উপজেলার ঢাকুরিয়া, হরিদাস কাঠি, দূর্বডাঙ্গা, নেহালপুর, কুলটিয়া, শ্যামকুড় ও মনোহরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন শত শত বস্তা শামুক কেনাবেচা হচ্ছে। প্রতি কেজি জ্যান্ত শামুক ১০ থেকে ১২ টাকা এবং শামুক ভেঙে ভিতরে শাঁস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা।
শামুক বিক্রি করে এলাকার পানি বন্দী নিম্ন ও মধ্য আয়ের শতশত মানুষ প্রতিদিন অন্তত সাতশ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত আর করতে পারছে।

ছোট ছোট নৌকায় করে উপজেলার বিভিন্ন বিল খাল ও ধানের ক্ষেত থেকে শামুক কুড়িয়ে আনা হচ্ছে। একেকজন দিনে ৩ থেকে ৪ বস্তা শামুক কুড়াতে পারছেন। মাছের ঘের ও বিলের পাড়সহ বিলের পার্শ্ববর্তী সড়কের পাশে শামুক কেনাবেচা করা হয়। স্থানীয় পাইকারেরা এসব শামুক সংগ্রহের পর বস্তাবন্দী করেন।

উপজেলা হরিদাসকাঠি ইউনিয়নের বিদ্যুৎ নামের এক ঘের ব্যবসায়ী বলেন, তাঁর অধীনে সাদ-আটজন বিলে শামুক কুড়ান। এই শামুক আমি আমার মাছের ঘরের জন্য ক্রয় করি আস্ত শামুক প্রতি কেজি ১২ টাকা এবং মাছের খাওয়ার উপযোগী করতে শামুক ভাঙতে দেওয়া হয় প্রতি কেজি দুই টাকা।
গড়ে প্রতিদিন ৪শ থেকে ৪৫০ কেজি শামুক কেনাহয়। আমার কাছে যারা শামুক বিক্রি করে তাদের একেকজন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ কেজি শামুক বিক্রি করে আয় করছেন ৬শ থেকে ৭শ টাকা। এছাড়াও তার মতো আরও অনেকেই আছেন বর্ষা মৌসুমে শামুক কেনাবেচা করছেন।

হাজিহাটের রবিন দাস জানান, এসব শামুক ট্রাকে করে খুলনা জেলার বিভিন্ন চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করা হয়। ঘের মালিকেরা এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে চিংড়ির খাবার তৈরি করে থাকেন। বর্ষা মৌসুমে এলাকায় তেমন কোনো কাজ না থাকায় শামুকের বাণিজ্য করছেন তাঁরা। অন্যদিকে বিনা পুঁজিতে এলাকার অনেকেই সংসারের বাড়তি আয় উপার্জনের জন্য বিভিন্ন জলাশয়ে শামুক কুড়ান।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: