মনিরামপুর ঢাকুরিয়া উত্তরপাড়ায় সংঘটিত সেই জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২০ ১৯:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২০ ১৯:২৬

ছবি সমসাময়িক
মনিরামপুর প্রতিনিধি।। যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া উত্তরপাড়ায় সংঘটিত জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত চাকু ও নিহত একজনের মোবাইল ফোন। হত্যায় জড়িত বেঁচে থাকা একমাত্র খুনি জাহিদ হাসান মানিককে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে খুনের রহস্য। জানা যায়, এ হত্যার নেপথ্যে ছিল নিহত বাদলের পরকীয়া। গ্রেপ্তার মানিক যশোর সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও নিহত বাদলের বন্ধু।
গত ১৫ অক্টোবর রাতে জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটে। খুন হয় যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের জয়ন্তা গ্রামের বাদল হোসেন ও আহাদ মোল্লা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, বাদলের পরকীয়ার বিষয়টি পরিবারকে জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানোয় প্রতিবেশী আহাদকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল বাদল। পরিকল্পনা অনুযায়ী জয়ন্তা বাজার থেকে আহাদকে মোটরসাইকেলে নিয়ে যায় পাশের বলরামপুর গ্রামে। সেখানে আগে থেকে অপেক্ষমাণ ছিল বাদলের সহযোগী ও বন্ধু মানিক। সেখান থেকে মোটরসাইকেল চালায় মানিক আর আহাদকে মাঝে বসিয়ে পেছনে বসে বাদল। তারা মনিরামপুরের ঢাকুরিয়া উত্তরপাড়া রাস্তায় পৌঁছানো মাত্র আহাদের গলায় চাকু দিয়ে পোঁচ মারে পেছনে বসা বাদল। রক্তাক্ত অবস্থায় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বাদলের কাছ থেকে চাকুটি কেড়ে নেয় আহাদ। এরপর ওই চাকু দিয়ে আহাদ খুন করে বাদলকে। এদিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে দুর্বল হয়ে পড়ে আহাদও। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে মানিক। পুলিশ সুপার বলেন, জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ছিল ক্লুলেস, চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর। এসব বিবেচনায় এটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)। সুনির্দিষ্ট তথ্যে গ্রেপ্তার করা হয় মানিককে। তার স্বীকারোক্তি মতে ঘটনাস্থলের প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে মোশারফ হোসেন ওরফে টুকু মেম্বারের পুকুর থেকে নিহত বাদল হোসেনের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলের অদূরে স্থানীয় আলতাফ হোসেনের জমি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়। ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সালাউদ্দিন সিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) গোলাম রব্বানী, সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) শোয়েব আহমেদ, ডিআইও-১ এম মশিউর রহমান, ডিবির ওসি সোমেন দাস প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: