মণিরামপুরে ব্যাপক হারে চোরের সংখ্যা বৃদ্ধি, হচ্ছে একের পর এক চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০২১ ১৩:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০২১ ১৩:৪৫

ছবি সমসাময়িক

ছবি সমসাময়িক

মোঃ ওয়াজেদ আলী (যশোর) প্রতিনিধি।।

যশোরের মণিরামপুর কুয়াদা বাজারে গভীর রাতে তিন দোকানে নগদঅর্থসহ প্রায় ৬ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ নিয়ে ব্যবসায়িদের মাঝে চরম চুরি আতংকে বিরাজ করছে। রোববার গভীর রাতে কুয়াদা বাজারে তিন দোকানে এ দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। জানাযায়, সদরে কুয়াদা বাজারে মেইন রোড় সংলগ্ন মা মনি জুয়েলার্সের দোকান থেকে নগদ ১১ হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণ, ৩০০ ভরি রোপা, ও ঢাকুরিয়া রোডে অবস্থিত কুন্ডু ষ্টোর নামের মুদি থেকে নগদ ৭৭ হাজার টাকা ২ টি স্বর্ণের আংটি, ১ জোড়া স্বর্ণের বালা, ১ টি স্মাট ফোন চুরি সংঘটিত হয়। এ ছাড়াও একই বাজারে ভোজগাতী রোডে খান ট্রেডার্স হতে ওই রাতে নগদ ১১ হাজার টাকা চুরি করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায় সংবদ্ধ চোরচক্র। পরেরর দিন সোমবার সকালে এ চুরির ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বাজারের দোকানিরা তাদের দোকান বন্ধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। খরব পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার এস আই মাইদুল ও মনিরামপুর থানার এস আই আঃ রাজ্জাকসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ,দোকানি এবং বাজার নৈশ্য প্রহরীদের নিয়ে মাগরিব বাদ কোতোয়ালি মডেল থানায় বৈঠকের আহবান জানান। এ বিষয়ে কুয়াদা বাজার ব্যাবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিএম অহিদুজ্জামান বাচ্চু জানিয়েছন,এলাকার কিছু চিহ্নিত নেশাখোর মাদকসেবিরা মাদকের টাকা যোগার করতে বাজের এমন বড় ধরনের চুরি সংঘঠিত করেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরাসহ এলাকার সচেতনমহল প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অপর দিকে আজ উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের তরকারি পট্টিতে রেখে যাওয়ার ১০ মিনিটের ব্যবধানে একটি পালসার মটরসাইকেল চুরি হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা উত্তর পাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ২ আগস্ট সোমবার সকালে বাড়ি থেকে ১৫০ সিসি নতুন পালসার মটরসাইকেল নিয়ে রাজগঞ্জ বাজারে আসে। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বাজারের তরকারি পট্টির চান্দালির চায়ের দোকানের সামনে মটরসাইকেলটি রেখে ৫০ গজ দূরে খগনের তরকারী দোকানে টাকা আনতে যাই। সেখান থেকে ৮/১০ মিনিটের মধ‍্যে ফিরে এসে দেখতে পায় তার রেখে যাওয়া মটরসাইকেলটি সেখানে নেই। এ সময় তৌহিদুল হাউমাউ করে চারিদিকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু মটরসাইকেলের কোন সন্ধান মিলাতে পারিনি বলে তিনি জানান। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় চায়ের দোকানদার চান্দালীসহ আশপাশের অনেকের সাথে তারা প্রতিনিধিকে বলেন, ছেলেটি মটরসাইকেল রেখে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। এটা একটা দুঃখজনক ব্যাপার। বিষয়টি নিয়ে মটরসাইকেল মালিক আবুল কালাম জানান, গত ২১ দিন পূর্বে আমি পালসার মটরসাইকেলটি শোরুম থেকে কিনে এনেছে। সোমবার সকালে আমার ছেলে তরিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে মটরসাইকেলটি নিয়ে রাজগঞ্জ বাজারে টাকা আনতে যায়। সেখান থেকে মটরসাইকেলটি চুরি হয়ে গেছে। এ বিষয়ে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শহীদ তিতুমীর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে জানান, মটরসাইকেল চুরির ঘটনাটি আমার কানে এখনো আসেনি, আপনার কাছ থেকে এই প্রথম শুনলাম।


undefined

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: