বাগেরহাটের ফকিরহাটে পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা করলো মেয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:০৯

ছবি সমসাময়িক
 

পমোঃ মানছুর রহমান (জাহিদ)।। বাগেরহাটের ফকিরহাটে পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে এনে থানায় মামলা করলো ১৪ বছরের কিশোরী কন্যা।যার নং-০২, তারিখ-০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং। ঘটনার পর থেকে পিতা মো: শহিদুল গাজী (৩৮) পলাতক রয়েছে। সে উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিন গাজীর পুত্র। মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, ফকিরহাট উপজেলা বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের শহিদুল গাজীর কন্যা বড়বাড়ীয়া লালচন্দ্রপুর দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী রেশমা খাতুনকে তার বাপের বাড়ী তাড়িয়ে দেয়। ফলে শহিদুল গাজী একাই নিজ বাড়ীতে থাকেন। তার স্ত্রী ছেলে মেয়েদের নিয়ে একই গ্রামে বাবার বাড়ীতে বসবাস করছেন। গত ২ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) বিকাল ৫টায় দিকে উক্ত কন্যা তার ভাইকে নিয়ে পিতার বাড়ি আসে। এরপর তার ভাই অন্যত্র খেলতে গেলে এই সুযোগে পিতা তার কন্যাকে ঘরে একা পেয়ে জাপটে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা করে। মেয়েটির আত্মচিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে মেয়েটি তার মা’কে জানান। এরপর বিষয়টি নিয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ মো: খায়রুল আনাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় নানান গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কেও বলছে এই সব ওই মেয়ের মায়ের সাথে যোগ সাজসে বাবাকে ফাঁসানোর জন্য সাজানো নাটক,কেও বলছে হতেও পারে। তাই এলাকার সচেতন মহলের প্রশাসনের প্রতি একটাই দাবি সঠিক তদন্ত পৃর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক। তাহলে একদিকে যেমন দোষী ব্যক্তি চরম শিক্ষা পাবে অন্য দিকে সমাজ হবে কলঙ্ক মুক্ত।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: