
আনোয়ার পারভেজ অনুজ।।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের পাশেই মনোহরপুর গ্রামে ৬ মাসের অন্তঃসত্তা নারীকে নির্মম নির্যাতনের ঘটনাটি চাপা দিতে জড়িত ধনাঢ্য ব্যক্তিরা আনলিমিটেড টাকা হাত বদলের খবর সকলের মুখে মুখে। কারন এ ঘটনায় নির্যাতিত নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে ভয়ে ও নানাবিধ কারনে এখনো অভিযোগ দায়ের করতে সাহস পায়নি বলে জানা গেছে। রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর শাহজাহান আহমেদ জানালেন, তারা নিজ উদ্যোগে ঘটনা স্থলে গিয়েছিলেন এবং অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথাও বলে এসেছিলেন।
পুলিশ এমন কথা বললেও একটি দালাল চক্র জড়িতদের পক্ষ থেকে নির্যাতিত পরিবারকে উল্টো বলছে,সবই ম্যানেজ,কাজেই অভিযোগ দায়ের করে লাভ হবেনা বরং চিকিৎসার ব্যয় ওরা বহন করছে আর এটাতেই খুঁশি থাকা ভাল। এসব কারনে এবং জড়িতরা অর্থশালী ও প্রভাবশালী হওয়ায় নির্যাতিত পরিবার পুলিশের প্রতি অবিশ্বাস ও মামলা করলে পরবর্তী সমূহ আক্রমনের ভয়ের কারনে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারছেনা। তাছাড়া আক্রান্ত নারীর স্বামী তরিকুল ইসলাম একজন চা-বিক্রেতা ও আর্থিকভাবে নি:শ্ব হওয়ায় পুলিশের কাছে গিয়ে মামলা বা খরচ করার মতো পর্যায় তার নেই।
এদিকে, নির্মম নির্যাতনের শিকার ওই নারীর গর্ভে থাকা ৬ মাসের শিশুর অবস্থা কখনো শোনা যাচ্ছে মারা গেছে আবার কখনো শোনা যাচ্ছে মারা যায়নি। তাকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে নিয়ে কোন এক বেসরকারী ক্লিনিকে,যাতে প্রকৃত অবস্থা কেউ জানতে না পারে। এলাকার দালালচক্র ব্যতীত সর্ব শ্রেণী পেশার মানুষ হতভম্ব এবং হতাশ এই ভেবে যে, অর্থ থাকলেই তাহলে বড় অপরাধ করেও সহজে চাপা দেয়া যায়?
সকলের প্রত্যাশা অন্তত একজন মাত্র ভাল পুলিশ অফিসার যেন বিষয়টির গুরুত্ব দিয়ে স্ব-উদ্যোগে নির্যাতিত নারীকে যেখানে অর্থাৎ অজ্ঞাত সেই ক্লিনিকে গিয়ে প্রকৃত অবস্থার খোঁজ নেয়াসহ প্রচলিত আইনে মামলা গ্রহন এবং জড়িতদের আটক পূর্বক কঠোর শাস্তির প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহন করেন। এটা না করলে আইনের শাসন নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠছে সর্বসাধারনের মধ্যে। উল্লেখ্য, ৮ জানুয়ারী দুপুরে ছাগলে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে রাবেয়া খাতুনকে এমন নির্মম নির্যাতন করা হয়।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: