
তাজাম্মূল হুসাইন, মণিরামপুর থেকে।।
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যশোরের মণিরামপুরের মশ্বিমনগর দাখিল মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে হান্নান নামের এক শিবির নেতাকে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে রোববার মানববন্ধন করেছে মশ্বিমনগর ইউনিয়নের জনসাধারণ। দাবী করা হয়েছে নোয়ালী গ্রামের ওয়াজেদ ক্বারীর ছেলে শিবির নেতা একাধিক মামলার আসামী হান্নানকে নিয়োগ করা হলে ইউনিয়নবাসী কোন অবস্থাতেই মেনে নেবে না। লিখিতভাবে জানানো হয়, মাদ্রাসার জমি দাতা মৃত বাসতুল্লাহ সরদারের ছেলে এস এম রবিউল ইসলাম চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকারী করে। অভিযোগ রয়েছে, তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার দাবী করে প্রতিষ্ঠান প্রধান, সুপার মাওলানা নজরুল ইসলাম এবং পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শাহরিয়ার খান কাবিল। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় শিবির নেতা হান্নানকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিতে চলেছে। এহেন ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এছাড়াও মানববন্ধনে অংশ নেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি খলিলুর রহমান খাঁন, মশ্বিমনগর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, মশ্বিমনগর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আকবার আলী সরদার, কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মহাসিন খান, কুটির বিষয়ক সম্পাদক রেশমা বেগম, স্থানীয় আওয়ামলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা, স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম হোসেন, অশোক, সেলিম রেজা, সীতা রানী, অলোক বিশ্বাস, আব্দুল জব্বার, হাসিনা বেগম, সাদিয়া বেগম, কুদ্দুস সরদার, মর্জিনা বিশ্বাস, আনার হোসেনসহ বিভিন্ন পেশার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা আওয়ামীলীগ এর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে সুপার নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই আমার। নিয়োগের বিষয়ে যারা কর্মকর্তা রয়েছেন উনারাই ভালো বলতে পারবেন।
উল্লেখ্য শাহরিয়ার খান কাবিল নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিলেও সে মূলত: জামায়াত-বিএনপির পৃষ্টপোষক এবং সন্ত্রাসী চাঁদাবাজাদের গডফাদার। ইতিপূর্বে তাদের হাতে মশ্বিমনগর ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক ত্যাগী আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী হামলা-মামলা দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। ইতিপূর্বে শাহরিয়ার খান কাবিল ও তার ভাই হাবিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগের দূর্দিনের ত্যাগী নেতা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি খলিলুর রহমান খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে বারবার হামলা করে। ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মামুনুর রশীদকে রাস্তা থেকে ধরে দড়ি দিয়ে বেধে মারপিট করে। রামপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মশিয়ার গাজীকে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে বাড়িতে হামলা করে মারপিট করে। ৮নং চাকলা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সামাদকে মারপিট করে। মণিরামপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম ফারুকী মহোদয়কে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মারপিট করে। এছাড়াও ২০১০ সালের ১০ই এপ্রিল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে হামলা করে নেতা-কর্মীদের মারপিট করে অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয়। মশ্বিমনগর গ্রামের নুর মোহাম্মদ গাজী ও তার স্ত্রী মোমেনা বেগমকে মারপিট নির্যাতন করে। তাদের অন্যায় অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: