
মণিরামপুর(যশোর)।।
যশোরের মণিরামপুরে বৃহস্পতিবার রাতে অনার্স পরিক্ষার্থী সুমিত্রা রায় ঘরের আড়ায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রেমিকের পরিবর্তে অন্যত্র বিয়ের আয়োজন করায় অভিমানে সুমিত্রা রায় আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর শুক্রবার ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। সুমিত্রা রায় মণিরামপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক সুনিল রায়ের একমাত্র মেয়ে। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার নেহলপুর গ্রামে।
নেহালপুর ইউপি সদস্য আজগর আলীসহ এলাকাবাসী জানান, নেহালপুর গ্রামের সুনিল রায়ের একমাত্র মেয়ে যশোর এমএম কলেজের অনার্স(ইংরেজি)পরিক্ষার্থী সুমিত্রার রায়ের সাথে তারই এক সহপাঠির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু অভিভাবকরা প্রেমিকের পরিবর্তে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় অন্য এক ছেলের সাথে সুমিত্রার বিয়ের তোড়জোড় করেন। আগামি শুক্রবার সেখান থেকে সুমিত্রাকে দেখতে আশার কথা ছিল। ধারনা করা হচ্ছে এ কারনেই অভিমান করে সুমিত্রা রায় আত্মহত্যা করেন। বাবা সুনিল রায় জানান, বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে সুমিত্রা খাবার খেয়ে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘরের মধ্যে আড়ার সাথে সুমিত্রার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে ওই রাতেই নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ আতিকুজ্জামান গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে। ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যায় নেহালপুর শ্মশানে লাশের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। বাবা সুনিল রায় জানান, সুমিত্রার সাথে কারোর সম্পর্ক ছিল কিনা তা তাদের জানা ছিলনা। মণিরামপুর থানার ওসি(তদন্ত)শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, এ ঘটনায় সুমিত্রার বাবা বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: