মণিরামপুরে কলেজ অধ্যক্ষকে ডিম-জুতা নিক্ষেপ, আহত ১৫ জন

বিশেষ প্রতিনিধি।। | প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৩৬

বিশেষ প্রতিনিধি।।
প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৩৬

ছবি: সংগৃহীত

যশোরে প্রতিনিধি।। আজ বুধবার দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় যশোরের মণিরামপুর উপজেলার গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরীক্ষার হলে নকল নিয়ে ধরা পড়ার পর সুইসাইড নোট লিখে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনার সরেজমিন তদন্তে যান জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার । এ সময় ঘটে বিপত্তি তাঁদের সামনে কলেজের অধ্যক্ষকে জুতা-ডিম ছুড়ে এবং মারধর করেছেন স্থানীয় কিছু বিক্ষিপ্ত জনসাধারণ। এসময় বিক্ষুব্ধদের ঠেকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন কলেজের শিক্ষক, কর্মচারীসহ প্রায় ১৫ জন। তাত্ক্ষণিক পুলিশ গিয়ে অনেক চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ওই কলেজের আহত দের একজন শিক্ষক চিন্ময় কুন্ডু বলেন, ‘আজ বুধবার কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা চলছিল। এর মধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা তদন্ত করতে কলেজে আসেন। তাঁরা অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকতেই বাইরে থেকে একদল নারী-পুরুষ কলেজ চত্বরে ঢুকে পড়েন। বাইরের লোকজনের সঙ্গে আমাদের কলেজের বর্তমান-পুরোনো কিছু শিক্ষার্থী ছিল।’
তারা‘কলেজ চত্বরে লাঠিসোঁটা, পচা ডিম, টমেটো ও জুতা নিয়ে সরাসরি অধ্যক্ষের কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন আমরা শিক্ষক-কর্মচারীরা অধ্যক্ষের কক্ষের প্রবেশপথে বাধ প্রদান করি। হামলাকারীরা বাধা পেরিয়ে আমাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এবং শিক্ষকদের মুখে জুতা মেরেছে। আমাদের ওপর ডিম ও টমেটো ছুড়ে মেরেছে। দুই তিনজন কর্মচারীর জামা টেনে ছিঁড়ে দিয়েছেন। এতে আমরা অন্তত ১৫ জন মারধরের শিকার হয়েছি। তাঁরা পিটিয়ে কয়েকটি চেয়ার ও আসবাপত্র ভেঙে ফেলেছে।’

ভুক্তভোগী শিক্ষক আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে বাধা ভেঙে দুই নারীসহ কয়েকজন ডিম ও জুতা নিয়ে ভেতরে ঢুকে অধ্যক্ষের ওপর হামলা করেছে। তারা অধ্যক্ষকে কিল-ঘুষি মেরেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ' ‘আমরা সবাই প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়েছি। আমাদের ওপর হামলার ঘটনার সঠিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত, আমরা কেউ প্রতিষ্ঠানে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এ বিষয়ে গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল এর সাথে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

পরিস্থিতি সম্পর্কে নেহালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।’




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: