মণিরামপুর ৯টি গার্মেন্টসের দোকানে সিনেমা স্টাইলে  চুরি

হাবিবুল্লাহ হুসাইন, মণিরামপুর | প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৩ ২৩:৩৮

হাবিবুল্লাহ হুসাইন, মণিরামপুর
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৩ ২৩:৩৮

ফটো:নিউজ প্রতিনিধি
 
যশোরের মণিরামপুর বাজারের ৯টি গার্মেন্টস দোকানের  এক সজ্ঞে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 
বাজারের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে  দেখা যায়, ভোরে নৈশ প্রহরীরা চলে যাওয়ার পর ৩-৪ জন যুবক মার্কেটে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।সিসি টিভির ভিডিও দেখে মনে হচ্ছিলো যেনো সিনেমা দেখছি।প্রতিটি দোকান চুরি করতে সময় নেই মাত্র ২-৫ মিনিট। মণিরামপুর থানার পাশে অবস্থিত কাপড়ের গার্মেন্টস পর্টির হামিদা শপিং কমপ্লেক্স ও মসজিদ মার্কেটে যখন চুরির ঘটনা ঘটে তখন ভারী বর্ষা হচ্ছিল। এসময় চক্রটি দোকান গুলোর ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে চোরেরা কোন কাপড়ে হাত দেয়নি। 
 
 
ঘটনার খবর পেয়ে মণিরামপুর থানা পুলিশ,  ডিবি ও সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চুরির আলামত ও ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করেছে।
 
এদিকে সূর্য ওঠার পর চুরির ঘটনা ঘটায় রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়  মার্কেটের ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা ।
 
চুরি হওয়া দোকানগুলো হচ্ছে, আঁচল বস্ত্রালয়
১ লক্ষ ৩০ টাকা, আলমগীর বস্ত্রালয় ১ লাক্ষ ১০ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ ফ্যাশন ৮০ হাজার টাকা, এক্সপোর্ট ফ্যাশন ৫০ হাজার টাকা, লেডিস কর্নার ৪০ হাজার টাকা, স্মাট ফ্যাশন 
২২ হাজার টাকা, এম.আর ক্লথ স্টোর ২০ হাজার টাকা, নিউ শাড়ী প্যালেস ৫ হাজার টাকা ও সিয়াম সু প্যালেস ৭০ হাজার টাকা আনুমানিক চুরি হয়।
আঁচল বস্ত্রালয়ের মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খবর পাই মার্কেটে চুরি হয়েছে। দোকানে এসে দেখি তালা ভাঙা নেই। রড দিয়ে দোকানের শাটার (ঝাপ) বাঁকা করে ভিতরে ঢুকে ক্যাশবাক্স ভেঙেছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ক্যাশে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিল। সব নিয়ে গেছে।
 
বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মোশাররফ হোসেন বলেন,
 আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর ৫টার দিকে ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। এরমধ্যে নৈশ প্রহরীরা দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান। তাঁরা চলে যাওয়ার পরপরই চোরেরা মার্কেটে ঢোকে। ঘন্টাখানেক সময়ে তারা ১৩টি দোকানের শাটার ভাঙে। তারমধ্যে ৯টির ক্যাশবাক্স ভেঙে টাকাপয়সা নিয়ে যায়।
মোশাররফ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
 
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, চুরির ঘটনায় তদন্ত চলছে। জড়িতদের দ্রুত ধরতে পারব বলে আশা করছি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: