নকল প্রসাধনীতে ছয়লাব নওয়াপাড়া বাজার

বিশেষ প্রতিনিধি।। | প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:০৫

বিশেষ প্রতিনিধি।।
প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:০৫

ফাইল ফটো

 

যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারের নামিদামি ব্র্যান্ডের নামে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে নকল প্রসাধনী। নওয়াপাড়া বাজারের কসমেটিক দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, পৃথিবীর নামকরা ব্র্যান্ডের প্রসাধনী সামগ্রী দোকানে সাজানো রয়েছে। তাদের কাছে যেকোনো ব্রান্ডের কসমেটিকস পাওয়া যায়। আসল আমদানিকারকের স্টিকারের মতো হুবহু স্টিকারও লাগানো রয়েছে সব পণ্যের প্যাকেটের গায়ে। রয়েছে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্নের তারিখ এবং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের ছাপ।নামকরা ব্রান্ডের নাম অনুকরণ করে তৈরি এসব ক্ষতিকর পণ্যের মধ্যে রয়েছে,
প্যান্টিন, হেড অ্যান্ড শোল্ডার শ্যাম্পু, বডি স্প্রে,ফোম, ত্বক ফর্সা ক্রিম, তেল, নেল পালিশ, লিপস্টিক, মেকাব-সহ চীন, ভারত, জার্মানি, থাইল্যান্ড, আমেরিকা ও জাপানের পণ্য ছাড়াও দেশি পণ্য অবিকল নকল করে তৈরি করা প্রসাধনী। দামে সস্তা পেয়ে দোকানিরা অধিক মুনাফার জন্য এসব কিনছেন এবং ক্রেতাদের আসল বলেই বিক্রি করছেন। এতে দোকান মালিক অতিরিক্ত লাভ করলেও প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। সালমা বেগম নামের এক ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমি নওয়াপাড়া চুড়ি পট্টির একটি দোকান থেকে বিদেশি রুপ ফর্সা ক্রিম কিনে ব্যবহার করে আমার মুখ ও ঘারের চামরা মারাত্মক ক্ষতি হয়। পরে ক্রিমটি ফেরত দিতে গেলে দোকানদার বলে, কেনার আগে এগুলো দেখে নিতে হয় কোনটা আসল কোনটা নকল। এখানে বিক্রিত মাল ফেরত নেওয়া হয় না। আমরা সাধারনরা কি করে বুঝব কোনটা আসল কোনটা নকল? তাছারা নকল পণ্যটা আসল পণ্যের দামেই কিনতে হয়। পণ্য দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটা আসল কোনটা নকল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দোকানী বলেন, প্রতিযোগিতার বাজারে ভাল-মন্ধ আসল - নকল সবধরনের মালই আমাদের রাখতে হয়।
নকল ও ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারের কুফল বিষয়ে জানতে চাইলে চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ শওকত হায়দার বলেন, এসব নকল প্রসাধনীতে দেওয়া বিষাক্ত কেমিক্যাল রক্তের সঙ্গে মিশে ক্যান্সার-সহ নানা ব্যাধির সৃষ্টি হতে পারে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: