পটিয়ার রশিদবাদে রাতের আঁধারে কৃষি জমি ভরাট, প্রশাসন নিরব

সেলিম চৌধুরী (পটিয়া প্রতিনিধি) পটিয়া, চট্টগ্রাম।। | প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ১০:৪৯

সেলিম চৌধুরী (পটিয়া প্রতিনিধি) পটিয়া, চট্টগ্রাম।।
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ১০:৪৯

ছবি- সমসাময়িক ফটো।

সরকারের আদেশ অমান্য করে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামে রাতে অন্ধকারে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে কৃষি জমি ভরাট করার গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। কৃষি জমি সুরক্ষা ও পরিবেশ আইন অমান্য করে কৃষি জমি ভরাট করার ফলে ভুক্তভোগীরা অসহায় হয়ে পড়ে। সুএে জানাযায়, কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি ও ভরাট করছে উপজেলা ১০/১২ টি স্পটে। কৃষিজমির ভরাট ও জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে বিক্রি করছে একাধিক চক্র জড়িত রয়েছে । জমি হতে কেটে নেয়া মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকার জায়গা, সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন মসজিদ ও কবরস্থানের নামে বেনামে বিভিন্ন কৃষি জমি ভরাট করে পাকা গৃহ নির্মাণ কাজ। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়েছে। পরিবেশ আইন অনুযায়ী কৃষিজমির মাটি কাটা এবং ভরাট করার দণ্ডনিয় অপরাধ। আইনে অপরাধ বলা হলেও ব্যবস্থা গ্রহণের বদলে অন্তরালে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে একটা প্রভাবশালী মহল।
এদিকে কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করায় ঘটনায় রশিদবাদ গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আনোয়ার এর পুত্র মো: আশেক বাদী হয়ে ২৬ জানুয়ারি আবদুল মোতালেব চৌধুরী, মুনসেফ আলী, রমিজ উদ্দিন, আরিফ হোসেন, রাশেদ ও শাহেদকে বিবাদী করে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভুমি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ বিষয়ে মামলার বাদী আশেক জানান, বিবাদীদের প্রায় সময় আমাদের পরিবারবর্গকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে। বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালতে অপর সি.আর. নং-৫২০/২২ মামলাটি বিজ্ঞ আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি চট্টগ্রামের দায়িত্ব দিয়েছে। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত চলামান রয়েছে। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বর্তমানে পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী, কচুয়াই, খরনা, হাইদগাও, কেলিশহর, ধলঘাট,বড়লিয়া, কাশিয়াইশ, কোলাগাও সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে রাতের অন্ধকারে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে চক্রটি। সরকারের আদেশ অমান্য করে কৃষি জমি কেটে বিক্রি ও ভরাট করায় ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
জানা যায়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১২-এর ৬ ধারায়) অনুযায়ী, প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট টিলা ও পাহাড় নিধন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অন্যদিকে ১৯৮৯ সালের ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধিত ২০০১) অনুযায়ী, কৃষিজমির টপসয়েল বা উপরিভাগের মাটি কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করাও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। দুই আইনে শাস্তির বিধান একই রকম। এসব কাজে জড়িত ব্যক্তিদের দুই লাখ টাকার জরিমানা ও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। একই কাজ দ্বিতীয়বার করলে দায়ী ব্যক্তির ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে। এ ক্ষেত্রে এ কাজের সঙ্গে জড়িত জমি ও ইটভাটার মালিক উভয়ের জন্যই সমান শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু পটিয়ায় উপজেলায় গোপনে বিভিন্ন জায়গা কৃষি জমি ভরাট ও কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ কুচক্রী মহল। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করার দাবি জানান সচেতন মহল।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: