গাইবান্ধায় ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধী তরুণী,ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

অভিজিৎ কুমার দাস,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।।  | প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৩৩

অভিজিৎ কুমার দাস,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।। 
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৩৩

ছবি- দৈনিক সমসাময়িক নিউজ প্রতিনিধি।
 গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিবন্ধী মেয়েকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে ধর্ষকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ অষ্টোবর ) সকাল ১১টায় নাগরিক মঞ্চ,রবিদাস ফোরাম,বিডিইআরএম,
জয়ভিম ও জনউদ্দ্যোগ এর আয়োজনে গাইবান্ধা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
 
এসময় বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, মানবাধিকার কর্মী অন্জলী দেবী, সংবাদকর্মী সুজন প্রসাদ,দীলিপ বাসফোর, রাজেস বাসফোরসহ রবিদাস সম্প্রদায়ের অনেকে।
বক্তারা, জেলা পুলিশ সুপারসহ জেলা প্রশাসনের কাছে  অবিলম্বে দোষীর গ্রেফতার ও সর্ব্বোচ্চ শাস্তির বিচারের দাবি জানান।
 
প্রসঙ্গত, নির্যাতিতা ও তার মা দুজনেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এবং ভিক্ষা করে জীবিকা র্নিবাহ করে। ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের উত্তর কাঠুর নিলের ভিটা গ্রামের বাসিন্দা।
দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত জয়েন উদ্দিন মুন্সির পুত্র বখাটে ময়নাল হক প্রতিবন্ধী ওই যুবতীর বাড়িতে যাতায়াত এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করতো। একপর্যায়ে ওই প্রতিবন্ধীর শারীরিব পরিবর্তন ঘটলে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। 
অভিযুক্ত ময়নাল হক ও তার স্ত্রী মোছা: সামিনা খাতুন গত ৪ অক্টোবর সুকৌশলে গাইবান্ধায় নির্যাতিতাকে নিয়ে গিয়ে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটনো হয় এবং বিকেলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে তার বাড়িতে রেখে যায়। রাত ৮টার দিকে ওই প্রতিবন্ধী শারীরিক অসুস্থ্যতা ও রক্তক্ষরণ শুরু হলে ময়নালকে বিষয়টি জানানো হয়। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ভিকটিমকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে ময়নাল ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। 
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ তানভির রহমান কল্লোল জানায়, গর্ভপাতের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারণে তাকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। 
 
এ ঘটনায় প্রতিবন্ধীর মামা বাদি হয়ে গত ৮ অক্টোবর ফুলছড়ি থানায় ময়নাল হক (৫০) ও তার স্ত্রী মোছা: সামিনা খাতুন (৪৫) আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কাওছার আলী বলেন, নির্যাতিতার মামা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। আর এই জঘন্যতম ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে ও আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: