
স্টাফ রিপোর্টারঃ দিনাজপুর চিরিবন্দরে এক ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টায় দাঁয়ের করা মামলার প্রধান আসামী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান (৩৩) কে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আমলী আদালতের (চিরিরবন্দর) বিচারক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনের আদালতে জামিন নিতে আসেন। পরে আদালতের বিচারক তার জামিন না মজ্ঞুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আফতাবুজ্জামান উপজেলার পূর্ব সাইতাড়া এলাকার ফজলার রহমানের ছেলে। তিনি চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন রানীবন্দর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জুলাই ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান চিরিরবন্দর ফিলিং স্টেশনে যাওয়ার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে আফতাবুজ্জামানসহ তার সহযোগী প্রায় ১০ জন তাকে হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে আফতাবুজ্জামান তার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে মোস্তাফিজুরের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আফতাবুজ্জামান ও তার সহযোগীরা পকেটে থাকা ২৭ হাজার ৩০০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এসময় তারা মোস্তাফিজুরকে হত্যা করে মরদেহ গুম করারও হুমকি প্রদান করে। এই ঘটনার পর পরে মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর আফতাবুজ্জামানসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও অজ্ঞাত ৫ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে চিরিরবন্দর থানায় তিনি একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দাঁয়ের করেন।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন- চিরিরবন্দর হাটখোলা এলাকার আব্দুল রউফ সরকারের ছেলে সবুজ সরকার, থানাপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মোবারক হোসেন, একই উপজেলার দক্ষিণ শুকদেবপুর এলাকার ওয়াহেদ আলীর ছেলে শাহজাহান ও যশাই শুকদেবপুর এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে আব্দুস সালাম।
আফতাবুজ্জামানের জেল হাজতে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি রেখামনি।
তিনি জানান, "ভিকটিমের দাঁয়ের করা মামলা সোমবার বিকেলে আসামী আফতাবুজ্জামান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে আসেন। সেখানে মামলার বাদী এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের দীর্ঘ শুনানী হয়। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মাথায় ক্ষত চিহ্নের উপর সেলাই থাকার বিষয়টি আসে। পরে বিচারক আসামী আফতাবুজ্জামানের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন"।
এই মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবি হিসেবে আমার সিনিয়র স্যার একরামুল আমিন আছেন। এদিকে চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ জানান, "বিভিন্ন সময়ে আফতাবুজ্জামনের বিরুদ্ধে থানায় ৫টি মামলা দাঁয়ের হয়েছে। এর মধ্যে ২টি মামলা দাঁয়ের হয়েছে বিজ্ঞ আদালতে এবং থানায় দাঁয়ের হয়েছে ৩টি মামলা"।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: