
যশোর সদর উপজেলা ১১ নং রামনগর ইউনিয়নের সতীঘাটা ০৫ ওয়ার্ড় ভাটপাড়া৷ গ্রামের আতাগাছে গলায় নেটের রশি দিয়ে সতীঘাটা কামালপুর গ্রামের চারা ব্যবসায়ী ফারুক হোসের (৩৫) রহস্যজনক মৃত্যুঃ মায়ের আজহারী। জানাযায়, যশোরের সতীঘাটা কামালপুর গ্রামের মোহাম্মদ নুরো ছেলে ফারুক হোসের শুক্রবার রাত আনুমানিক ১২ ঘটিকায় থেকে ভোর ০৪ ঘটিকায় মধ্যে যে কোন সময় কে বা কারা ডেকে নিয়ে রামনগর ইউনিয়নের সতীঘাটা ০৫ নং ওয়ার্ড ভাটপাড়ার দক্ষিণ পাড়ার গ্রামের অধীরে বাড়ীর পিছনে পুকুর পাড়ে আতাগাছে গলায় নেটের রশি দিয়ে ফারুক হোসের নামে এক ব্যবসায়ী ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় অদ্য ভোর আনুমানিক ৫-৩০ ঘটিকায় সময় স্থানীয় আশা লতা তিনি দেখেন পুকুর পাড়ে আতাগাছে নেটের রশি দিয়ে এক যুবক ঝুলছে আশা লতা তখন চিৎকার করলে স্হানীয় জনগণ সংবাদ পেয়ে ছুটে চলে আসে তা দেখে সঙ্গে সঙ্গে কোতোয়লী থানাকে অবগত করেন, এবং পরবর্তীতে পুলিশের টহলরত মোবাইল গাড়ী এসে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় লাশ গাছ থেকে নামায়। কোতোয়লী থানার এস আই রফিক, A D I o রেজা ওয়াছার মোকসেদসহ সঙ্গীফোর্স ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন এবং ভিকটিমের প্যান্টের পকেট থেকে একটি রোমাল নগদ ১১৬০ টাকা উদ্ধার করে। টাকা পয়সা গুলো তার পরিবারের কাছে দিয়ে দেন।এ মর্মান্তিক র্দুঘটনা সংবাদ পেয়ে ১১ নং রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফ ০৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তরু ০৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গাজী রিয়াজ ০৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাশেদ মহিলা ইউপি সদস্য নাজনীন সুলতানাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের জনগণ উপস্থিত ছিলেন। এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ভিকটিমের মাতা আয়শা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুক্রবারের দিন দুপুর বেলায় আমাকে বলে মা আমার দিকে খেয়াল রাখবেন আমার যে কোন সময় আমার দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভিকটিমের মামী কেয়া খাতুন জানান আমি গাছের চারার ব্যবসা করি যেখান সেখানে গিয়ে চারা কিনে নিয়ে আসতে যায় আমার মনটা ভাল লাগছে না মামী আমার দিকে একটু খেয়াল রাখবেন। ভিকটিম ফারুক হোসেরের মামী বলেন, আমার ভাগনে যদি আত্মহত্যা করবে তাহলে তার নিজের গ্রাম ছেড়ে কেন সে ভাটপাড়া গ্রামের যেয়ে সে আত্মহত্যা করবে এখানে কিছু রহস্য আছে বলে আমার মনে হচ্ছে। আমার ভাগনের গায়ে ব্লু রঙে গেঞ্জি পরা ছিল টার্চ ফোন টাকা পয়সা ছিল। তবে তিনি আরও জানান কে বা কারা তাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে এই ঘটনার ঘটিয়েছে বলে তিনি জানান। পরিশেষে থানা পুলিশ ভিকটিম ফারুক হোসেরকে এম্বুলেন্স যোগে যশোর সদর হাসপাতালে মর্গে নিয়ে যান। এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা এলাকায় চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় জনগণের মাঝে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বয়। এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা স্থানীয় জনগণের মাঝে আতংকে বিরাজ করছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: