লুটপাট ভাঙচুর ও আতঙ্কিত এক জনপদের নাম এখন শ্যামকুড় ইউনিয়ন ; বোবা কান্নায় আওয়ামী লীগ

স্টাফ রিপোর্টার,মণিরামপুর (যশোর)॥ | প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২২ ০১:৩৯

স্টাফ রিপোর্টার,মণিরামপুর (যশোর)॥
প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২২ ০১:৩৯

 ফাইল ফটো

মণিরামপুরে গত ২৮শে মে শনিবার দিনেদুপুরে ফকিররাস্তা বাজারে হামলা চালিয়ে চারটি দোকান ভাঙচুরের পর দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলের সময় বাধা দিতে আসলে সন্ত্রাসীরা তিন নারীসহ চার জনকে মারধর করে জখম করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দখলকারীদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয়। তবে অভিযোগ রয়েছে সন্ধ্যার দিকে আবারও দখল করা হয়। এ ব্যাপারে সাতজনের নাম উল্লেখসহ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

স্থানীয় এক বিশস্ত সূত্রে বলছে আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ ইকরামুলের ফকির রাস্তা বাজারে গত ২৮শে মে ১১ টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে দখলের রাম রাজত্ব কায়েম একেছে একদল সন্ত্রাসী। তবে অভিযোগ করেও একশনে যায়নি পুলিশ (৯৯৯) নং ফোন করেও মেলেনি আশা অনুরুপ সেবা এমনটাই বললেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ইকরামুল। জানাযায় মোঃ ইকরামুল শ্যামকুড় ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগে রাজপথের একনিষ্ঠ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক মোঃ সজিব হোসেন এর ভিটে বাড়ি দখল বৃদ্ধ মা কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে একাধিক নাশকতা মামলার আসামি জাহাঙ্গীর।

মণিরামপুর থানার এসআই আবদুল মান্নান ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের মকবুল হোসাইনের ছেলে ইনামুল হোসাইন ও ইকরামুল হোসাইন ২০১৯ সালে ফকিররাস্তা বাজারে প্রায় সাত শতক জমি ক্রয় করে সেখানে ১১টি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেন। অপরদিকে একই গ্রামের ইনাম মোড়লের সৌদি প্রবাসী ছেলে তৌহিদুর রহমান ওই দোকানসমুহের পিছনে চলতি বছর ১১ শতক জমি ক্রয় করেন। অভিযোগ রয়েছে পেছনের জমিতে যাওয়ার জন্য তৌহিদ প্রায়ই ইনামুল ও ইকরামুলকে চাপ প্রয়োগ করে তাদের জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের জন্য। কিন্তু ইনামুল ও ইকরামুল অস্বীকৃতি জানালে তৌহিদের বড়ভাই বাবু মোড়লের নেতৃত্বে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সবুজ, শের আলী, আলম, খলিলসহ এলাকার চিহ্নিত ৮/৯ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা, লোহার রড, রামদা নিয়ে চারটি দোকানে হামলা চালিয়ে জোরপূর্বক ব্যবসায়ীদের(ভাড়াটিয়া) নামিয়ে দেয়।
এ সময় বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা জমির মালিক ইনামুল ও তার মা শ্যামকুড় পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আয়া তাছলিমা খাতুন, স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন, বড়ভাবি দুর্বাডাঙ্গা পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের আয়া পলি বেগমকে বেধড়ক মারধর করে। পরে সন্ত্রাসীরা ওই চারটি দোকান ভাঙচুরের পর দখল করে। এ সময় ট্রিপল নাইনে(৯৯৯) ফোন করলে থানার এসআই আবদুল মান্নান ও এসআই মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের দুটি টিম গিয়ে সেখান থেকে দখলকারীদের হটিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে ইনামুল হোসইন বিকেলে বাবু মোড়ল, সবুজ আহম্মদ, শের আলী, আলম, খলিলসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ লিখিত অভিযোগ করেন। তবে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বাবু মোড়াল জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা নির্মাণের জন্য ইনামুল ও ইকরামুলের কাছে একটু জমি চাওয়া হচ্ছিল। ইকরামুল হোসাইন ও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, থানায় অভিযোগ করার পর সন্ত্রাসীরা সন্ধ্যার দিকে ভাঙচুরকৃত ওই চারটি দোকান পুনরায় দখলে নিয়ে সেখানে রাস্তা নির্মাণ শুরু করেন। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: