
যশোরের মণিরামপুর উপজেলা ৩ নং ভোজগাতী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামগণ মাদক ব্যবসায়ীর হাতে মারাত্মক ভাবে জখম হলে স্থানীয় জনগণ আহতদেরকে উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে চালকিডাঙ্গায় বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। তবে কয়েক দিন আগে ভোজগাতী ইউনিয়নের ০৯ ও ০৮ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম ও বাবর হোসেন ও স্থানীয় জনগণকে এক সাথে বসে মাদকের বিরুদ্ধে আনদোলন গড়ে তোলা সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং আমাদের যুবকদের মাদকাসক্ত থেকে রক্ষা করতে হবে এবং মাদকের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জানাযায়, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ৯ টা ৩০ মিনিটের সময় চালকিডাঙ্গা ও কাশিমনগর ইউনিয়নে বিলে মাঝ খানে পাকা সড়কের উপর দিয়ে প্রতি নিয়ত মাদকদ্রব্য বেচাকেনা ও আনা নেওয়া করতো। এই ঘটনার বিষয় চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে গোপন সংবাদ পেয়ে মণিরামপুর থানার টহল পুলিশের সঙ্গী ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে চালকিডাঙ্গা বিলে সড়কের উপর দিয়ে একটি মটর সাইকেল আসছিল, তখন স্থানীয় জনগণ ও থানা পুলিশ এক সাথে মিলে সেই মোটরসাইকেলটি থামিয়ে তাকে এবং গাড়ীটি তল্লাশি করে এবং মটর সাইকেল চালক নাঈম কে জিজ্ঞেস করেন এত রাত্রে তুমি কোথা থেকে আসলে তোমার বাড়ী কোথায় তথন নাঈম বলেন, আমি বাঁশের ব্যবসা করি আমার বাড়ী বেগারি তলা। এ ঘটনা সংবাদ এলাকায় চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে মাদক ব্যবসায়ী কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সারাদিন ধরে চালকিডাঙ্গা বাজারে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বয়। এ দিকে ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য খবির হোসেন খুররম (৫৩) ও তার সহযোগী শাহিন হোসেনগণ (৩০) মাদকদ্রব্য বেচাকেনা আনা নেওয়া সেবনকারীসহ তারা ফুসে উঠে। পুলিশকে এই সংবাদ বা আনলো কারা মাদকদ্রব্য বেচাকেনা বাঁধা মূল হোতা কারা। তখন খুররম ও তার সহযোগী শাহিন হোসেনগণ জানতে পারে যে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামগণ। তখন সব মাদকাসক্ত লোকজনদের সংবাদ দিয়ে চালকিডাঙ্গা বাজারে মিটিং করে দলবল নিয়ে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম (৫৩) আবুল কালাম (২৫) পিতা মৃত্যু শামছুরউদ্দিন গাজী ফয়সাল হোসেন বাপ্পি (৩০) আরো ৩, ৪ জনকে হকিস্টিক চায়নিজ কুড়াল দিয়ে চালকিডাঙ্গা বাজারে স্থানীয় জনগণের সামনে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামগণকে বেধড়ক মারধর তাদের হাতে থাকা চায়নিজ কুড়াল হকিস্টিক দিয়ে ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীদের মাথায় শরীরে বিভিন্ন জায়গায় বেধড়ক মারধর করে এ ঘটনার সংবাদ এলাকায় চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষে মারামারি। ফলে সাবেক ইউপি সদস্য খুররম হোসেন (৪২) সোহরাব হোসেন, (৪৫) হাবিবুর রহমান শান্ত (২৩) কে বেধড়ক মারধরের স্বীকার ও জখম হলে তাদেরকে মণিরামপুর উপজেলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে এই খুরাম হোসেন ও সহযোগী মাদক সম্রাট শাহিনের খুঁটির জোর কোথায়। এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে শনিবার সকালে ভোজগাতী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল রাজ্জাক মণিরামপুর উপজেলার হাসপাতালে তাদেরকে দেখতে যান এবং তিনি ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামগণকে বলেন, ইউনিয়ন থেকে মাদক মুক্ত করতে হবে। তিনি আরও জানান ইউনিয়নে যুবকেরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে আমি মাদকমুক্ত ইউনিয়ন গড়তে চায়। এ ঘটনার বিষয় এলাকা বাসী তদন্ত পূর্বক প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: