
আনোয়ার পারভেজ অনুজ।। যশোরের মনিরামপুরে একরামুল হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পিবিআই। আটককৃত দুই ভাই আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
স্বীকারোক্তি দেয়া দুই ভাই হলেন মনিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের হোসেন মোড়লের ছেলে আমিনুর রহমান ও কামরুল ইসলাম।
আটককৃত দুই ভাইয়ের মধ্যে কামরুল কুয়েত প্রবাসী ছিলেন। প্রবাসে থাকার সুবাদে কামরুলের স্ত্রী হীরা খাতুনের সাথে কলেজ ছাত্র একরামুলের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তাদের মধ্যকার যৌন মিলনের দৃশ্য ইকরামুল তার ফোনে রেকর্ড করে রাখে।
মাস পাচেক আগে কামরুল বাড়িতে ফিরে আসেন এবং সবকিছু জেনে মানসম্মান রক্ষার্থে কামরুল এবং তার ভাই আমিনুর সম্প্রতি ইকরামুলের সাথে দেখা করেন এবং হীরার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার অনুরোধ করেন। কিন্তু ফোনে রেকর্ড করা সেই ভিডিও নিয়ে ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করে ইকরামুল।
ঘটনার দিন গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় আমিনুর তার ভাইপো মেহেদীর কাছ থেকে জানতে পারেন, একরামুল নোয়ালী গ্রামের কাড়াখালি ব্রিজের ওপর অবস্থান করছেন। এ খবর পেয়ে তিনি গোপনে সেখানে গিয়ে তাকে দেখতে পান। এরপর বাড়ি ফিরে আসেন এবং একটি বৈদ্যুতিক তার নিয়ে ফের সেখানে যান। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে গলায় বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে একরামুলের কাছে থাকা মোবাইল ফোন দিতে বলেন আমিনুর।
বৈদ্যুতিক তার গলায় পেঁচানোর কারণে শ্বাসরোধে মারা যায় একরামুল। তার শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ায় ভয় পেয়ে যান আমিনুর। পরে লাশটি ব্রিজের পাশে রেখে বাড়িতে চলে আসেন এবং ঘটনাটি ভাই কামরুলকে জানান। পরে দুই ভাই ঘটনাস্থলে যান এবং লাশ বস্তাবন্দি করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে পাশের মদনপুর গ্রামের জনৈক লিয়াকত আলীর পুকুর পাড়ে মাটিতে পুঁতে রাখেন।
তিনি আরও জানান,ঘটনার সাথে জড়িত দুই ভাই ও তাদের ভাইপো মেহেদীকে গত বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আমিনুর ও কামরুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। উল্লেখ্য, নিহত একরামুল ভরতপুর গ্রামের মফিজুর মোল্লার ছেলে। গত ২৮ মার্চ রাতে তিনি নিখোঁজ হন এবং আটককৃতদের স্বীকারোক্তিতে ৩১ মার্চ মদনপুর গ্রামে নিমতলা ডোবার পাড়ে মাটিতে পুতে রাখা ভরতপুর গ্রামের ইকরামুল হোসেন (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের বস্তাবন্দি লাশ মাটি খুড়ে উদ্ধার করে পিবিআই।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: