
স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুরে শফিকুল ইসলাম নামে এক মামার বিরুদ্ধে আপন ভাগ্নিকে(পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী) গলায় ধারালো দা ধরে জবাই করার ভয় দেখিয়ে ছয়মাস যাবত ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ রোববার সকালে ধর্ষনের সময় প্রতিবেশী এক মহিলা দেখে ফেললে বিষয়টি জানাজানি হয়। ওই ঘটনার পর ধর্ষক শফিকুল ইসলাম পালিয়ে গেছে।
খবর পেয়ে সোমবার রাতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দেবীদাসপুর গ্রামের ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধারের পর তার মেজ মামা-মামির জিম্মায় রেখে আসেন। মেয়ের মা বিদেশ থেকে দু-একের মধ্যে এসে মামলা করবেন বলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জানিয়েছেন।
জানাযায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেবিদাসপুর গ্রামের এক স্বামী পরিত্যক্তা তার দুই বছর বয়সী মেয়েকে আপন ছোটভাই শফিকুল ইসলামের কাছে রেখে ১০বছর আগে ভারতের মুম্বাই শহরে যান। মা সেখান থেকে রোজগার করে মেয়েকে দেখাশোনার জন্য ভাইয়ের কাছে টাকা পাঠাতে শুরু করেন। শফিকুল নিজের সংসার থাকায় ভাগ্নির জন্য একটি পৃথক ঘর নির্মান করেন। ওই ঘরেই ভাগ্নি বসবাস করে আসছে।
ভাগ্নি বর্তমান স্থানীয় একটি সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। ভাগ্নির অভিযোগ তার পিতৃতুল্য মামা শফিকুল ইসলাম ছয়মাস আগে রাতে ঘরে উঠে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।
এ সময় বাঁধা দেওয়ায় ধারালো দা গলায় ধরে জবাই করার ভয় দেখিয়ে মামা তাকে প্রথম ধর্ষন করে। ধর্ষনের কথা কাউকে না বলার জন্য তাকে শাসানো হয়। এ ভাবেই প্রায় তাকে ধর্ষন করে আসছিল শফিকুল। সর্বশেষ রোববার সকাল ১১ টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় সুবাদে ঘরের মধ্যে ওই ভাগ্নিকে ধর্ষনের সময় জানালা দিয়ে প্রতিবেশী এক মহিলা দেখে ফেলে।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে লম্পট মামা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারি কমিশনার(ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমি সুলতানা, ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।
মেয়েটি এ সময় অভিযোগ করেন তার মামা ছয়মাস যাবত তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষন করে আসছে।সে লস্পট মামল বিচার দাবি করে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে। সহকারি কমিশনার (ভ’মি) খোরশেদ আলম জানান, মেয়েটিকে উদ্ধারের পর তার মেজ মামা তরিকুল ইসলাম এবং মামির জিম্মায় রাখা হয়েছে।
এ দিকে এ খবর পেয়ে মেয়েটির মা ভারত থেকে দেশে আশার জন্য ইতিমধ্যে রওনা হয়েছে।তার মা এসে দুকের মধ্যে থানায় মামলা করবেন। ওসি(সার্বিক) রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছেন, কিন্তু থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।অভিযোগ করা হলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: