মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।। কবি সনৎ কুমার কুন্ডু (৭৫) পরলোকগমন করেছেন। তিনি পেশায় হোমিও চিকিৎসক ছিলেন। শনিবার দিবাগত রাত অনুমান ২.৩০ মিনিটে পরলোকগমন করেন। তিনি মণিরামপুর পৌর শহরের মণিরামপুর গ্রামের স্বর্গীয় অনিল কৃষ্ণ কুন্ডু’র মেজ পুত্র ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পরিবার সূত্রে জানাযায়, কবি সনৎ কুমার কুন্ডু বয়সের সাথে সাথে দীর্ঘদিন ধরে ব্রেনের শিরা সমস্যয় ভুগছিলেন। গত রবিবার সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গিয়ে কবি পড়ে মাথায় আঘাত পায়। সাথে সাথে তাকে যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। ইবনে সিনা হাসপাতালে ২ দিন রাখার পর তার শরীরিক অবস্থা অবনতি হলে মঙ্গলবার খুলনা সিটি মেডিকেলে ভর্তি করেন। পরে ডাক্তারের পরামর্শে বুধবার আইসিইউতে রাখেন। আইসিইউতে থাকাকালীন শনিবার দিবাগত রাত অনুমান ২.৩০ মিটিনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। শনিবার রাতেই তাহেরপুর মহাশশ্মানে কবির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানাগেছে।
কবির জামাই কবি রাম প্রসাদ কুন্ডু জানান, তার শ্বশুর ৮০ দশকের কবি। তাছাড়া ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ বেতার খুলনার গীতিকার হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেন। এ সময় তাঁর ৩৩টি বাউল গান প্রচারিত হয়। তারপর ২০০৯ সালে ”অপদেবতার কৌপীন” নামে বাউল গীতিকাব্য সংকলনে ১০টি বাউল গান স্থান পায়।
ভারতীয় মাসিক পত্রিকাসহ বাংলাদেশের লিটিলম্যাগ, স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় তার ছোট গল্প, ছড়া ও কবিতা প্রকাশ হয়েছে। তার প্রকাশিত গ্রন্থ ”শুন্য পাত্রে ছিন্ন জীবন” (কাব্য গ্রন্থ-২০২১), ”বৃন্ত হারা” (গল্প গ্রন্থ-২০২৩) ও ”শুভ দৃষ্টি” (কাব্য গ্রন্থ-২০২৪)। ছাড়াও প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে উপন্যাস ”নেশাচর” ও ”প্রহসন”।
কবির মৃত্যুতে যশোর বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদ, মণিরামপুর সাহিত্য পরিষদসহ কবি হোসাইন নজরুল হক, অশোক কুমার বিশ্বাস, শফিক শিমু, এনাম রাজু, মোকাররম হোসেন, এম মাহবুব মুকুল, রকি মাহমুদ, রেজা মন্ডলসহ অনেকে কবির বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: