মণিরামপুরের ঝাঁপা বাওড় থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা

মনিরামপুর প্রতিনিধি।। | প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:০২

মনিরামপুর প্রতিনিধি।।
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:০২

ফাইল ফটো

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।। যশোরের মণিরামপুরে ঝাঁপা বাওড় থেকে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকার মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে বাওড়ের বৈধ ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মোবারকপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে পাশ কাটিয়ে একটি চক্র জোরপূর্বক ধারাবাহিকভাবে লাখ লাখ টাকার মাছ ধরছে। ফলে এ নিয়ে মোবারকপুর সমিতি ও প্রভাবশালী ওই চক্রের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিযেছে।

জানাযায়, মোবারকপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি সরকারের কাছ থেকে ২০২২ সালে বাওড়টি ইজারা নেন। এর পর থেকে সমিতির সদস্য মৎস্যজীবীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২/১৩ জন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে এক কোটি সাত লাখ টাকা নিয়ে বাওড়ে মাছ ছেড়ে চাষ করে আসছে। কিন্তু এ সমিতির ২১ সদস্যের মধ্যে ১৭ জনকে অবৈধ দাবি করে সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ মুকুলসহ কয়েকজন ব্যক্তি গত ২৮ জানুয়ারি জেলা সমবায় অফিসার বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় সমিতির সভাপতি শুধাংশু বিশ^াস ও সম্পাদক সাধন বিশ^াসসহ ১৭ জনকে অব্যাহতি দিয়ে নুতন করে ১৭ জনকে সমিতিতে সংযুক্ত করেন। তবে এ নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে সমিতির সভাপতি শুধাংশু বিশ^াস বাদি উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলা সমবায় অফিসারের আদেশ ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগীত করেন। অর্থাৎ পূর্বের কমিটি বহাল রযেছে।

কিন্তু অভিযোগ রয়েছে সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে না জানিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগী শাহআলম, আবু বক্কারসহ কয়েকজন গত এক সপ্তাহ যাবত বাওড় থেকে লাখ লাখ টাকার মাছ ধরছেন। এ নিয়ে মূলত: দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সমিতির সম্পাদক সাধন বিশ্বাসঅ ভিযোগ করেন, লাখ লাখ টাকার মাছ ধরলেও তারা সমিতির হিসাবে জমা না করে আত্মসাত করেন। এ ব্যাপারে জানতে বিনিয়োগকারী সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি খুব ব্যস্ত আছেন বলে ফোনটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। তবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না জানান, বিষয়টি যাচাইয়ান্তে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাসুদুর রহমান জানান, কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: